সাগরদিঘিতে এবার ত্রিমুখী লড়াই। উপ নির্বাচনে ৭৮ শতাংশ ভোটদান আর মুসলিম ভোট নিয়েই জয়ের অঙ্ক কষছে কংগ্রেস। অন্যদিকে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলও। মহিলা ভোটের উপর ভর করেই জয়ের স্বপ্ন দেখছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের দাবি, রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ তাঁদের নির্বাচনী বৈতরণী পার করবে।
তবে জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, বিজেপি-কংগ্রেস সমঝোতা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ের কোনও আশা দেখছে না বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, নির্বাচনের ফল বেরোলেই দেখা যাবে, তাঁদের দ্বিতীয় স্থান পাকা। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, শুনে ঘাসফুল শিবিরের চিন্তা বাড়তে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, মুখে যেই যা দাবি করুক এবার নির্বাচনে কংগ্রেসের জয় প্রায় নিশ্চিত। বাইরণ বিশ্বাস কংগ্রেস-সিপিএম জোটের প্রার্থী হলেও এই উপনির্বাচন অধীর চৌধুরীর প্রেস্টিজ ফাইট। অধীরকেই অনেকটা এগিয়ে রেখেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেকরা। দের দাবি, উপ নির্বাচনেই কংগ্রেস মুর্শিদাবাদে খাতা খুলছে। তবে জয় যারই হোক ব্যবধান পাঁচ হাজার ছাড়াবে না।
বিরোধীদের আশঙ্কার মাঝেও সাগরদিঘির উপনির্বাচন মোটের উপর শান্তিপূর্ণ হয়েছে। সাধারণ ভোটাররা নির্বিঘ্নে বাড়ির বাইরে এসে ভোট দিতে পেরেছেন। নির্বিঘ্নে ভোট করানোর গোটা কৃতিত্বটাই গিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্র বাহিনীর পকেটে। উপনির্বাচনে সরকার বদলের কোন অঙ্ক কাজ করেনি। তাসত্ত্বেও ২০২১ সালের তুলনায় ভোটদানের হার বেশি হওয়ায় শাসক শিবিরকেই ভাবাচ্ছে।
বুধবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, “মানুষ তৃণমূলের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, হিংসা ও খুনোখুনির বিরুদ্ধে ভোট ফিয়েছে ধর্ম নিরপেক্ষ তৃতীয় শক্তিকে।” তাঁর দাবি, মুসলিম ভোটারার তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছে।
২০২১ সালে এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুন। সেখান বিজেপি এবার হিন্দু মুখ দিলীপ সাহাকে প্রার্থী করায় কংগ্রেস-বিজেপি আঁতাতের অভিযোগ আরও জোরাল করছে ঘাসফুল শিবির। জয়ের আশা টিকিয়ে রেখেই শেষ ভোট গণণা না হওয়া পর্যন্ত কর্মীদের গগনা কেন্দ্র না ছাড়তে কড়া নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল। ভোটের ফল কী হয় সেটাই এখন দেখার।