কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গায় এক কর্মীসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশি ব্যবস্থাকে উদ্দেশ্য করে বালুরঘাটের BJP সাংসদের তোপ, “পুলিশ যদি নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে তাহলে পুলিশকে পুলিশ মনে করব। আর পুলিশ যদি তৃণমূলের ক্যাডারদের মতো কাজ করে তাহলে ক্যাডারদের সঙ্গে যা ট্রিটমেন্ট করা হয়, পুলিশের সঙ্গেও সেই ট্রিটমেন্ট করা হবে।”
এদিনের সভা থেকে শাসক দলকে একহাত নেন BJP রাজ্য সভাপতি। গত শনিবার দিনহাটার বুড়িরহাটে তৃণমূল- BJP রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা হয়।
সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৪৮ জন BJP নেতাকর্মীর নামে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে পুলিশ। সেই মামলায় পুলিশ ইতিমধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ঘোকসাডাঙ্গা এলাকার BJP নেতা প্রশান্ত বর্মন।
বুধবার দুপুরে BJP রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেই প্রশান্ত বর্মনের বাড়িতে যান। ওই BJP কর্মীর পরিবারকে আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এরপর তিনি তার পরিবারের সদস্যদের বলেন, “দলীয় কর্মীকে ছাড়ানোর জন্য BJP সহযোগিতা করবে। প্রয়োজনে হাইকোর্টেও যাবে।”
এরপরই তিনি পুলিশকে একহাত নিয়ে বলেন পুলিশ ‘দলদাস’-এ পরিণত হয়েছে। পুলিশ যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ করে তাহলে পুলিশকে পুলিশ বলে মনে করব। আর পুলিশ যদি তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করে তাহলে তৃণমূলের ক্যাডারদের সঙ্গে যে ট্রিটমেন্ট করা হয় পুলিশের সঙ্গেও সেই একই ট্রিটমেন্ট হবে।
কসাডাঙ্গা কর্মী সভা শেষে তিনি তুফানগঞ্জের ভানু কুমারী -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নাকারথানা বটতলা এলাকায় যান। সেখানে কর্মীসভা করেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কোচবিহারে এসে প্রথমে সাহেবগঞ্জে ভাঙচুর হওয়া দলীয় পার্টি অফিস ঘুরে দেখেন সুকান্ত।
দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে বামনহাট ২ নম্বর অঞ্চলের কালমাটি এলাকার আক্রান্ত BJP নেতা অভিজিৎ বর্মন ও কৃষ্ণকান্ত বর্মনের বাড়িতে যান। শনিবার এই কৃষ্ণকান্ত বর্মনের বাড়ি এবং সংলগ্ন দোকানে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
দলের তরফে তাঁকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। আগামী দিনে আক্রান্ত প্রত্যেক BJP কর্মীর পাশে দল দাঁড়াবে বলে উল্লেখ করেন BJP রাজ্য সভাপতি।