এই পরিস্থিতিতে লালগোলার শিক্ষক পদপ্রার্থীর আত্মহত্যার ঘটনার মধ্যে কি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে CBI-কে তদন্তের নথি সাত দিনের মধ্যে দিতে হবে, নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিশেষ করে মৃত আব্দুরের সুইসাইড নোট নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র হতে পারে বলে মনে করছে আদালত। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার জানান, প্রয়োজনে CBI এই মামলাতে চার্জশিটও দাখিল করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, আব্দুরের মৃত্যুর পর নয় পাতার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে দিবাকর কনুই নামক এক ব্যক্তির উল্লেখ পাওয়া যায়। এর উপর ভিত্তি করে তারাপীঠের হোটেল থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত শুনানিতেই আব্দুরের মৃত্যুর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ থাকতে পারে, এই পর্যবেক্ষণ ছিল কলকাতা হাইকোর্টের।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার জানান, ওই ঘটনার নেপথ্যে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি আব্দুরের মৃত্যুর পর প্রাপ্ত সুইসাইড নোটে উল্লেখ থাকা দিবাকরকে কেন CBI জিজ্ঞাসাবাদ করছে না? সেই প্রশ্নও তুলেছিল আদালত।
উল্লেখ্য, সুইসাইড নোটে আব্দুর রহমান উল্লেখ করে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিবাকর তাকে দেখা করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই ঘটনার যোগসূত্র থাকতে পারে, এই বিষয়টি আগেও উঠে এসেছিল আদালতের পর্যবেক্ষণে। একইসঙ্গে আব্দুরের আত্মঘাতী হওয়া নিয়ে পুলিশি তদন্তের উপর আস্থা প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি মান্থার এর আগের শুনানিতে জানিয়েছিলেন, আব্দুরের পরিবারের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে লালগোলা থানার পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করেছে।
কিন্তু, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে CBI। সেই প্রেক্ষিতেই এই ঘটনায় নাম উঠে আসা মূল অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নয়া তথ্য পেতে পারেন তদন্তকারীরা, পর্যবেক্ষণ আদালতের। উল্লেখ্য, গত বছরই SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আপাতত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি।
এই মামলায় উঠে এসেছিল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামও। অভিনেত্রী তথা মডেল অর্পিতাকেও গ্রেফতার করে ED। তাঁর টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়।