গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারে ED। এদিকে ইতিমধ্যেই তাঁর মেডিক্যাল টেস্টের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে এদিন বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন এসেছে বলেই কি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করা হচ্ছে!” তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করা নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি সেই সময় নয়া পদক্ষেপ এই নেতার!
জানা যাচ্ছে, দিল্লি যাওয়া আটকাতে মরিয়া অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর, তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। আসানসোল আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করতে চলেছেন তিনি। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলেছেন তিনি, জানা গিয়েছে এমনটাই। অনুব্রত মণ্ডল হয়ে সওয়াল করতে পারেন কপিল সিব্বল, সূত্রের খবর এমনটাই। একইসঙ্গে তিনি প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও কড়া নাড়বেন, জানা যাচ্ছে এমনটাই।
এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে গত বছর ১৯ ডিসেম্বর ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ জারি হয়েছিল। কিন্তু, কেন তা কার্যকর হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে দিল্লির আদালত। প্রসঙ্গত, গোরু পাচার মামলায় গত বছর ২২ অগাস্ট CBI-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর গ্রেফতারির পরই রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল।
আপাতত আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন তৃণমূলেরই এক কর্মী শিব ঠাকুর মণ্ডল। তিনি দাবি করেছিলেন, বীরভূমের এই দাপুটে নেতা এক সময় তাঁর গলা টিপে ধরেছিল। দীর্ঘদিন পর সাহস সঞ্চয় করে তিনি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন বলেও দাবি করেন শিব।
এই মামলাটিকে সামনে রেখে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ওঠে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে, এই মন্তব্য উঠে এসেছিল রাজ্য শাসক দলের নেতাদের তরফে। পালটা সরব হয়েছিল BJP-ও। তদন্তকারীরা তাঁদের কাজ করছেন বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা।