Bangla Pokkho: ‘এক-দুজনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি…’, ‘বাংলা পক্ষ’ ছেড়ে গর্গকে নিশানা ডা: অরিন্দম বিশ্বাসের? – dr arindam biswas opens up about the reasons of quitting bangla pokkho


বাংলা পক্ষের সমস্ত পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস। তিনি বাংলা পক্ষের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের পরই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? জানালেন এই সময় ডিজিটালকে। বাংলা পক্ষের তরফে ‘সকলকে নিয়ে চলার’ মনোভাব দেখানো হয়নি, এই দাবি করেছেন তিনি। আর সেই কারণেই নিজেকে এই সংগঠন থেকে সরিয়ে নিয়েছেন বলেও জানান অরিন্দম বিশ্বাস। ঠিক কী বলেছেন তিনি?

অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “দীর্ঘ দিন বাংলাপক্ষের শীর্ষ পরিষদে ছিলাম এবং এই দায়িত্ব ছাড়তে চাই তাও জানিয়েছিলাম। কারণ আমি সাংগঠনিকভাবে সকলকে নিয়ে চলার পক্ষপাতি। কিন্তু, আভ্যন্তরীণ রাজনীতি আমি মেনে নিতে পারছিলাম না। অনেক মতের অমিত হচ্ছিল।”

Mamata Banerjee On Ganga Arti : শীত-গরমে পৃথক সূচি, শহরে গঙ্গা আরতির দিনক্ষণ ঘোষণা মুখ্য়মন্ত্রীর
তাঁর সংযোজন, “আমি কোনও ব্যক্তিবিশেষে বিষোদগার করিনি। করবও না। তবে এক-দু’জন ব্যক্তি বড় সংগঠন চালাতে পারে না। সকলকে মিলে তা চালাতে হয়। আমার মনে হয়েছিল বাংলা পক্ষে থেকে আমি বাঙালি জাতির জন্য কর্তব্য পালন করতে পারছিলাম না। তাই সরে এলাম। তবে ভবিষ্যতে নিজে পদক্ষেপ করব। আমি সাত দশদিনের সময় নিয়েছি। এরপর আমি কী করব তা জানিয়ে দেব।”

একইসঙ্গে বাংলা পক্ষ প্রসঙ্গে অরিন্দম বিশ্বাসের মন্তব্য, “ব্যক্তিগত কুৎসা করে, নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়ি করে বাঙালি জাতিকে এক করা যাবে না। বাঙালিকে বোঝাতে হবে। বাঙালি এক হতে পারছে না বলেই রাজনৈতিক মতান্তর-হিংসার ঘটনা। ভবিষ্যতে আমার নিজের কিছু করার ইচ্ছা রয়েছে। আর সেই জন্য আমি কিছুটা সময় নিয়েছি।”

Mamata Banerjee DLitt : ‘আমি তোমাদেরই লোক’, জনগণকে জেভিয়ার্সের ডি’লিট উৎসর্গ মমতার
এক বা দু’জন ব্যক্তিকেন্দ্রীক সংগঠন প্রসঙ্গে কি তিনি দুষেছেন বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়কে? অরিন্দম বিশ্বাস অবশ্য কারও নাম নেননি। অন্যদিকে, এই চিকিৎসকের মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পালটা গর্গ এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, “বাংলা পক্ষ সি টেট আন্দোলন করেছিল গোটা বাংলাজুড়ে ( সি টেটে সফলদের ইন্টারভিউয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট)। অনেক বাংলা পক্ষের যোদ্ধা এই সাফল্যে মেতে। আগামীদিনে আমরা ভূমিপুত্র সংরক্ষণের লড়াইয়ে নামছি।”

Mamata Banerjee: পর্যটনে সেরা বাংলা, স্বীকৃতি নিতে মার্চে বার্লিনে মমতা
তাঁর আরও সংযোজন, “আমাদের কাছে বাংলা ও বাঙালির লড়াইটাই আসল।” চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস এবং তাঁর মন্তব্য নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি। অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে বাংলাপক্ষের সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, “অরিন্দম বিশ্বাস কোনও ইস্তফাপত্র এখনও জমা দেননি। আমাদের সংগঠন বাঙালির জন্য কাজ করছে, করবে। আমরা সঠিক দিকেই রয়েছি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *