বুধবার বিকেলের ওই ঘটনায় বেশ কয়েক জন শিশু গুরুতর আহত হয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। আহত তিন জন শিশুকে হুগলি (Hooghly) জেলার আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার মানুষ ওই সমবায় সমিতির দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি রামডিহা জয়রামবাটী পথ অবরোধ করেন।
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় কোতুলপুর থানার পুলিশ। এই বিষয়ে স্থানীয় এক গ্রামবাসী ঝুমা হাজরা বলেন, “কয়েকজন বাচ্চা ওখানে খেলা করছিল। সমবায় সমিতির লোকজন ওদের ওখান থেকে সরে যেতে বললেও ওরা খেলা চালিয়ে যায়। সরেনি ওখান থেকে।
আর সেটাই হয়ে যায় মারাত্মক অপরাধ। বেদম মারধর করা হয় ওই শিশুদেরকে। খবর পেয়েই আমরা ছুটে যাই। এতটাই আঘাত লেগেছে ওদের যে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে”। অভিযুক্ত সমবায় সমিতির লোকজনদের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন ওই মহিলা।
যদিও সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই বিষয়ে চোরকোলা রামডিহা আশ্বিনকোটা গ্রামসভা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ম্যানেজার শুভেন্দু দত্ত বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। কেউ ওই শিশুদের ওখান থেকে সরতে বলেনি। মারধর তো অনেক দুরের কথা।
আমাদের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ওই শিশুদের কে বা কারা মেরেছে তাও আমরা জানিনা। পুলিশ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনুক, আমরাও সেটা চাই”। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাড়িতে হোক বা বাইরে, শিশুদের শাসন করার ক্ষেত্রে মারধর করতে একেবারেই বারন করেন শিশু বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞের মতে, বাচ্চাদের মারধর করলে তারা খুব ভিরু হয়ে যায়। অবচেতন মনে এই কষ্টের স্মৃতি বারবার ঘুরে ফিরে আসতে পারে। আবার কারোর ক্ষেত্রে জেদ বেড়ে যায়। ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে প্রতিশোধ স্পৃহা বাড়তে শুরু করে।
বড় হয়ে সেও অন্যকে আঘাত করতে পারে। এমনটা নয় যে বাচ্চা সব সময় জেনে-বুঝেই আঘাত করবে। কারও কারও ক্ষেত্রে তো বড় হওয়ার পরেও এমন মানসিকতা থেকে যেতে পারে। বাচ্চাকে মারলে তার একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে, যা উপেক্ষা করার নয়।