পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর থেকে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বোতলগুলি। বর্ধমান থানার পালিতপুর রোডের বীরপুরে গাড়ি বদল করার সময় পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় পাচারকারীরা। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ম্যাজিষ্ট্রেট পর্যায়ের আধিকারিকের উপস্থিতিতে বর্ধমান থানার পুলিশ অভিযান চালায়। উদ্ধার হয় প্রায় ৪ হাজার ৪০০ বোতল নিষিদ্ধ ড্রাগ ফেনসিডিল।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কোনও রকমের বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় পুলিশ সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে। দুই গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের ডিএসপি ট্রাফিক ২ রাকেশ চৌধুরী জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয় পালিতপুর রোডের কাছে।
সন্দেহবশত একটি ট্রাককে দাঁড় করানো হয়। তল্লাশি চালানোর সময় ট্রাকের মধ্যে থেকে ২২ টি বস্তায় ৪৪ কার্টুন ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। পরে দেখা যায় সব মিলিয়ে মোট ৪ হাজার ৪০০টি ফেনসিডিলের বোতল ছিল। এরপরেই দুই গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
তারা কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের গ্রেফতার করা হয় ও সমস্ত নিষিদ্ধ ড্রাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃত বিনোদ যাদবের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে এবং মহারাজ খানের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। ধৃত দুজনকেই আজ বর্ধমান আদালতে তোলা হয়েছে।
এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত? কী উদ্দেশ্যে এই বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ ড্রাগ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মুর্শিদাবাদে? সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ থেকে কি বাংলাদেশ বা অন্য কোনও দেশে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল এই বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ ড্রাগ? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
কেনই বা গাড়ি বদল করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল বর্ধমানকে? কোনও বড় পাচার চক্রের এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আগামীদিনে মাদক পাচার চক্রের সন্ধানের জন্য তল্লাশি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।