কলকাতার অদূরে সোদপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিটি রোডের ডিভাইডারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। গোরু-সহ গাড়িটিকে আটক করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। কিন্তু চালক ও এক আরোহী পলাতক। আবার ওই গাড়ির ভিতরে শাসকদলের পতাকা থাকা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
গোরু পাচার রুখতে সক্রিয় পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই ছোট একটি প্রাইভেট গাড়িতে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। সে কারণেই গাড়ির পিছনের সিট তুলে শুইয়ে রাখা হয়েছিল গোরুটিকে। সামনের দু’টি সিটে ছিলেন চালক ও আর এক জন। আর ছিল শাসকদলের পতাকা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরের দিকে কলকাতার দিক থেকে বিটি রোড ধরে আসছিল গাড়িটি।
সোদপুর ট্র্যাফিক মোড়ে দায়িত্বে থাকা পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশকর্মীরা গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ দেখেই গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করেন চালক। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। পুলিশ পৌঁছনোর আগেই চম্পট দেন চালক ও আরোহী। পুলিশ গোরু-সহ গাড়িটিকে আটক করে। খড়দহ থানার পুলিশ জানিয়েছে, পলাতকদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
এ দিকে গাড়ির ভিতরে তৃণমূলের পতাকা থাকা নিয়ে বিজেপি নেতা কিশোর করের তোপ, ‘গোরু পাচার করা তৃণমূলের সংস্কৃতি। পুলিশের উচিত কড়া পদক্ষেপ করা।’ খড়দহ যুব তৃণমূল সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরীর দাবি, ‘গাড়ির সামনে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে বিরোধীরাই।’