আয়কর দফতরের আধিকারিকরা মুখে কোনও কথা না বললেও মুখ খুলেছেন অসিত। তাঁর দাবি আধিকারিকরা তাঁকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দিয়ে গিয়েছেন। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আয়কর দপ্তরের পাঁচ আধিকারিকের একটি দল পুরশুড়ার রসুলপুরে অসিতের বাড়িতে হানা দেয়। কোটি কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে হানা দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে অসিতের প্রতিবেশীদের মনে হয়েছিল, এই হানার সঙ্গে চিটফান্ড মামলার যোগ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চিটফান্ডের রমরমার সময় অসিত অনেকের থেকে টাকা নিলেও তা ফেরত দেননি। তিনি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হলেও চাষবাস তাঁর পেশা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আয়কর দফতরের হানা প্রসঙ্গে এদিন অসিত বলেন, “আয়কর দফতর বলে আজ সকালেই আমার বাড়িতে হানা দেয় কয়েকজন। তাঁদের দাবি ছিল, আমি আয়কর ফাঁকি দিয়েছিল। টাকার অঙ্ক শুনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। গুজরাটে সুপারির ব্যবসা করে আমি ৩২ কোটি টাকা আয়কর ফাঁকি দিয়েছি। যা নথি চেয়েছিল সব তাঁদের হাতে তুলে দি। পরে তাঁরা এখান থেকে চলে যান। আমি কোনও দিন সুপারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নই। আমাকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দিয়ে গিয়েছেন ওনারা।”
চিটফান্ড নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রসঙ্গে অসিত বলেন, “তখন আমি বেকার ছিলাম বলে মানি মার্কেটে কাজ করেছি। ওই কোম্পানি গুলির কোনও দুর্নীতি ছিল বলে আমি জানতাম না। বিষয়টা এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই।”