এরপর নিজ উদ্যোগে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। শেষ পর্যন্ত সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে বিদ্যুৎ পায় হলদিয়া পুরসভার দুই গ্রাম বিষ্ণুরামচক ও সৌতনপুর। গ্রামের মানুষ কুনাল ঘোষের এই অবদান ভুলে যাননি। এদিকে, গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারি কলকাতা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ফুটবল খেলায় অংশগ্রহন করে পায়ে চোট লেগে গুরুতর আহত হন কুনাল ঘোষ।
তাই এবার তাঁর সুস্থতা কামনা করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার বিষ্ণুরামচকে করা হয় মহাযজ্ঞ। গত বুধবার কুনালের পায়ের অপারেশন করা হয়। তাই তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করে পূজার্চনা করা হয় হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচকে। স্বাধীনতার পর প্রথমবার বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছনোর পর থেকেই এই এলাকার মানুষদের কাছে প্রিয়জন হয়ে উঠেছেন কুণাল ঘোষ।
তাই তাঁর সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করলেন এলাকার মানুষেরা। উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দলীয় কর্মসূচিতে হলদিয়ায় গিয়েছিলেন কুনাল। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যুৎবিহীন দুই গ্রাম বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুরে গিয়ে অবাক হয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামের ঘরে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ এবং জল।
সেখানে ব্যতিক্রম হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুর গ্রাম। এখানে স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পৌঁছয়নি বিদ্যুৎ। আর তা দেখেই অবাক হয়ে পড়েন কুণাল ঘোষ। রাজ্যের প্রতিটি কোণায় যখন উন্নয়ন পৌঁছে যাচ্ছে সেখানে এখনও হ্যারিকেনের আলোয় দিনযাপন করতে হচ্ছে বন্দরশহরের বাসিন্দাদের!
তারপরের ঘটনা এই গ্রাম দুটির বাসিন্দাদের জন্য ইতিহাস। এই বিষয়ে গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, “কুনালবাবুর জন্যই আজ আমরা আলোর মুখ দেখেছি। নাহলে আমাদের জীবনে ছিল শুধুই অন্ধকার। উনি আমাদের কাছে ভগবানের চেয়ে কিছু কম নন। আজ উনি অসুস্থ। পায়ে চোট লেগেছে। এই অবস্থায় আমরা মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারিনা।
তাই নিজেদের সাধ্য মতন পুজো ও যজ্ঞ করে ওনার সুস্থতা কামনা করলাম। সুস্থ হয়ে উনি আবার আমাদের গ্রামে আসুন, এটাই চাই”।