বৃহস্পতিবার সকালে সমস্ত পরিক্রমা একত্রিত হয়ে মিলিত হয় মায়াপুর ইসকন মন্দিরে (Mayapur ISKCON Temple)। এই বছর প্রায় ১০০টি দেশের ৫ হাজার বিদেশিভক্ত সহ হাজার হাজার দেশীয় ভক্তের সমাগম ঘটেছে গৌড় পূর্ণিমা উৎসব উপলক্ষে। আগামী ৭ই মার্চ দোলের দিন মহাপ্রভুর জন্মের সন্ধিক্ষণে হবে বিগ্রহের মহা অভিষেক অনুষ্ঠান।
এই বিষয়ে ইসকন মায়াপুরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, “সামনেই দোল পূর্ণিমা , আর এই দোল পূর্ণিমা নিয়ে নদিয়াবাসীর আগ্রহের শেষ নেই। শ্রীচৈতন্যের জন্মভূমি শ্রীধাম নবদ্বীপ ও মায়াপুরে দোল উৎসব পালন করতে আসেন গোটা দেশ-বিদেশের একাধিক মানুষজন। ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রীধাম মায়াপুরের পক্ষ থেকে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর ৫৩৭ তম জন্মতিথি উপলক্ষে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখ্য বৈষ্ণব সন্মেলন, নবদ্বীপ মন্ডল পরিক্রমা, বিশ্বশান্তি যোগ্য নৌকা বিহার, শোভাযাত্রা, বিভিন্ন ভাষায় ভাগবত পাঠ, একাধিক সেমিনার, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভক্তবৃন্দের দাঁড়া বিভিন্ন ভাষায় ভজন কীর্তন, বিভিন্ন নাটক, সঙ্গীত”। তিনি আরও বলেন, “অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই মন্ডল পরিক্রমা শেষ হয়েছে।
গতকাল শুধু একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছিল। মন্ডল পরিক্রমা দলকে কিছু ক্ষিপ্ত কুকুর আক্রমন করে। কয়েকজন আহত হন। কিন্তু সবাই এই মুহূর্তে ভালো আছেন”। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্যই রয়েছে মন্দিরে ঢোকার প্রবেশাধিকার। দূর দূরান্ত থেকে আসা সমস্ত ভক্তদের নিরাপত্তার দিকেও যথেষ্ট নজরদারি রাখা হয়েছে।
দোল পূর্ণিমার আগে থেকেই হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড় করেন মায়াপুরে। মন্দিরের সূত্র মারফত জানা যায়, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাবের দিনটিও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গেই পালন করা হবে। দোল পূর্ণিমায় সর্বত্রই চলে রং ও আবিরের খেলা।
ইসকন মন্দিরে রং ও আবির খেলা হয় না। সেইদিন মন্দিরে চলে একাধিক উৎসব। সন্ধ্যায় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব সময়ে দেওয়া হবে পুষ্পাঞ্জলী ও প্রার্থনা করা হবে বিশ্ব শান্তি ও বিশ্ব কল্যাণের জন্য।
গত দু’বছর করোনা অতিমারির কারণে সেই ভাবে পালন করা হয়নি দোল উৎসব। কিন্তু এবছর প্রকোপ কমাতে ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীদের ভিড় জমতে শুরু করেছে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে।