কেন গ্রেফতার হয়েছিলেন নওশাদ?
মূলত প্রতিষ্ঠা দিবসের জন্য ভাঙড়ে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল ISF। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে ISF কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন নওশাদ। গ্রেফতার হওয়ার পর একাধিক অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নওশাদ?
জামিনের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন এই বিধায়ক। এদিকে আদালতের উদ্দেশে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নওশাদ বলেছিলেন, “আইনের উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে। হাইকোর্ট নিশ্চই বুঝবে যে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করার একটা চেষ্টা হচ্ছে।”
পাশাপাশি তৃণমূলকে তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, “বাংলায় বিরোধীদের উপর আক্রমণ হানা হচ্ছে। সরকার প্রতিহিংসামূলক আচরণ করে চলেছে।” ISF-এর কোনও কর্মী এবং সমর্থকরাও কোনও অশান্তি করেনি। একইসঙ্গে হাওয়াই চটি পরে আদালতে যাওয়া প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য ছিল ১২ বা ১৫ হাজারের হাওয়াই চটি তিনি পরেন না।
ভাঙড়ের হাতিশালায় ISF এবং তৃণমূলের সংঘর্ষের ঘটনায় একাধিক ধারায় নওশাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল। এরপরেই ISF কর্মীদের বক্তব্য ছিল, প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই এই গ্রেফতারি। অন্যদিকে, বিধানসভা নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন নওশাদ।
তাঁর গ্রেফতারির তীব্র সমালোচনা শোনা গিয়েছিল বাম এবং কংগ্রেস নেতাদের কণ্ঠে। মহম্মদ সেলিম তীব্র কটাক্ষ করে নওশাদের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। অবিলম্বে তাঁকে মুক্ত করতে হবে, এই দাবিও তোলা হয়েছিল তাঁদের পক্ষ থেকে। এই ISF বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছিল কংগ্রেস। উল্লেখযোগ্যভাবে, তাঁকে সমর্থন করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল BJP।
নওশাদ সিদ্দিকির মুক্তির দাবি করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল গেরুয়া শিবির। বিরোধী কণ্ঠ রোধ করার জন্যই এই গ্রেফতারি, এমনটাই দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মোটের উপর ISF বিধায়কের গ্রেফতারি নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনৈতিক মহল।