বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউতে সি-টেটে সফলদের আবেদনের সুযোগ দিতে হবে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যান ২০১৭-র রাজ্য টেটে সফল ও প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা। মামলাকারীদের আইনজীবী ছিলেন সোমেশকুমার ঘোষ।
দীর্ঘ শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করে। সিঙ্গল বেঞ্চে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির কথাও বলা হয়। রায়ের পর ২০১৭-র টেট পাশ ঐক্য মঞ্চ জানায়, সি-টেট পাশ সাটিফিকেটে বলা আছে, যে সব রাজ্য টেট নিতে পারবে না, সেখানে সি-টেটে সফলদের আবেদন বিবেচনা করা হতে পারে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য টেটে সফল প্রার্থীর সংখ্যা পর্যাপ্ত। তাই অন্যদের সুযোগের প্রশ্নই ওঠে না বলে ঐক্য মঞ্চের দাবি।
এ দিকে, প্রাথমিকে ১১ হাজার ৭৬৫ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কর্মরত শিক্ষকদের অংশগ্রহণ বাতিল করে দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। কর্মরতদের ইন্টারভিউয়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার তাঁর নির্দেশ – মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগে চাকরিরতদের নতুন নিয়োগের সুযোগ দিতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
কর্মরতদের আবেদনের বিরোধিতা করে মণিদীপা পুরকাইত-সহ ২০১৭ সালের টেটে সফল প্রার্থীরা হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৬ ও ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সেই সময়ে চাকরিরতদের সুযোগ দেয়নি পর্ষদ। যাঁরা ইতিমধ্যেই চাকরি করছেন, তাঁদের নতুন করে সুযোগ না দিয়ে কর্মহীনদের সুযোগ দেওয়া হোক।
মামলকারীদের আইনজীবী জানান, আগের দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কর্মরতদের আবেদনের সুযোগ না দিলেও ২০২২-এ এঁদের সুযোগ দেওয়ার কথা জানায় পর্ষদ। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এঁরা আবেদনও করেছেন। এখন ইন্টারভিউ চলছে। তার উপরেই স্থগিতাদেশ দিল আদালত।
অন্য দিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২০০৯ সালে শূন্যপদ ছিল ১,৮৩৪। তার মধ্যে ১,৫০৬ জনের নিয়োগ তালিকা বেরোলেও বাকি ছিল ৩২৮টি পদ। মেধার ভিত্তিতে সেই পদ পূরণের জন্য এ দিন নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ১৭ এপ্রিলের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করে নিয়োগ সম্পন্ন করবে পর্ষদ। নিয়োগ তালিকা প্রস্তুত করে স্কুল শিক্ষা কমিশনারকে পাঠাবে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ।
