গত মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারত সরকারের বস্ত্র মন্ত্রণালয় দ্বারা কলকাতাতে হস্তশিল্প ডেভলপমেন্ট কমিশনার-এর হাত থেকে জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হন ধর্মেন্দ্র। ছৌ মুখোশের উন্নয়নে তাঁর কারুশিল্প এবং অবদানের জন্য জাতীয় মেধা পুরস্কারে সম্মানিত হন তিনি। বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে নিজের ছৌ মুখোশ নিয়ে ধর্মেন্দ্র গ্রামে ফিরতেই আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন গ্রামবাসীরা।
সম্মানিত মুখোশ শিল্পীকে মালা পরিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে, আবির মাখিয়ে, ব্যান্ড বাজিয়ে আনন্দে সারা গ্রাম ঘোরেন গ্রামবাসীরা। উল্লেখ্য, এই গ্রাম পদ্মশ্রী স্বর্গীয় গম্ভীর সিং মুড়ার গ্রাম। সম্মানিত ধর্মেন্দ্র সূত্রধর এদিন বলেন, “ছোটোবেলা থেকেই আমি ছৌ মুখোশ তৈরির কাজ শিখেছি। আমরা চার ভাই সকলেই ছৌ মুখোশ তৈরির পেশাতেই যুক্ত। এই পুরস্কার আমায় ২০১৮ তে সম্মানিত করার কথা ছিল। কিন্তু তারপর মহামারি কোভিড আসার কারণে সম্মান পাওয়া সম্ভব হয়নি। চলতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি পুরস্কার পাওয়ার জন্য আমি কলকাতাতে ডাক পাই। সেখানে গিয়ে জাতীয় ছৌ মুখোশ শিল্পী হিসেবে সম্মানিত হলাম।”
ধর্মেন্দ্র জানান, আগামীদিন ছৌ মুখোশ গ্রামের যেন আরও সুনাম হয় তার প্রার্থনা করছি। তার এই গর্বে গর্বিত হয়ে উঠেছে মুখোশ গ্রাম তথা সমগ্র পুরুলিয়া।
প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসেই জিআই তকমা পেল পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ। কেন্দ্র এই স্বীকৃতি দেওয়ার পরে বাঘমুন্ডির ৩১ জন ছৌ শিল্পীর হাতে শংসাপত্র তুলে দেয়।
ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প বিশ্বের দরবারে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই জাতীয় স্বীকৃতি মেলে এই শিল্পের। জিআই তকমা পাওয়ায় খুশি ছৌ শিল্পীরা। ছৌ মুখোশ জিআই তকমা পাওয়ার পরেই শিল্পীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। তবে ছৌ নাচের শিল্পীরা সরকারি সাহায্য পেলেও ছৌ মুখোশ নির্মাণকারী শিল্পীরা অনেক সময় সরকারি সাহায্য পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ ওঠে।