প্রথম দুই রাউন্ডের পর এগিয়ে বাইরন বিশ্বাস (Bairon Biswas)। জয়ের মার্জিন ক্রমশই বাড়ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ২০৮০ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে বাইরন বিশ্বাস। দ্বিতীয় স্থানে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি মণিগ্রাম থেকেও এগিয়ে কংগ্রেস। সাগরদিঘিতে তৃণমূলের মূল ঘাঁটি থেকেও হাত শিবিরের দিকে ভোট বেশি যাওয়ায় অশনি সংকেত দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
১৬ রাউন্ডে শেষ হবে গণনা। তৃতীয় রাউন্ড শেষেও এগিয়ে বাইরন বিশ্বাস। দ্বিতীয় রাউন্ড গণনা শেষেই বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে শুরু অকাল দোলের উদযাপন। মুর্হুমুর্হু ফাটছে বাজি পটকা। কংগ্রেস কার্যালয়ে টেবিল চেয়ারে থরে থরে সাজানো রয়েছে বাজি পটকা, আবির। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে ২০৮০ ভোটে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী। বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস পেয়েছেন ৪২ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৩৪ শতাংশ ভোট। প্রসঙ্গত, তৃতীয় স্থানে বিজেপি।
উপ নির্বাচনে ৭৮ শতাংশ ভোটদান আর মুসলিম ভোট নিয়েই জয়ের অঙ্ক কষেছে কংগ্রেস। বাইরন বিশ্বাস কংগ্রেস-সিপিএম জোটের প্রার্থী হলেও এই উপনির্বাচন অধীর চৌধুরীর প্রেস্টিজ ফাইট। গণনার শুরুতেই তাই এগিয়ে থাকার খবরে আত্মবিশ্বাসী হাত শিবির।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাগরদিঘি নির্বাচন শাসক দলের কাছে অ্যাসিড টেস্টের সামিল। নির্বাচনের ফলাফলের দিকে পাখির চোখ সব রাজনৈতিক দলের। আগ্রহের খামতি নেই নেতা মন্ত্রী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে আমজনতার। গণনার ট্রেন্ড মতোই সাগরদিঘি পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের হাতছাড়া হলে তা শাসক দলের কাছে বড় ধাক্কা হবে বলাই বাহুল্য।