Sasthipada Chattopadhyay : প্রয়াত পাণ্ডব গোয়েন্দার স্রষ্টা সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – sasthipada chattopadhyay pandab goenda author passes away


প্রয়াত ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’- স্রষ্টা সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার সকাল ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। হাওড়ার একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসারত ছিলেন তিনি। সেখানেই প্রয়াত হন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়।

বাবলু, বাচ্চু , বিলু, ভোম্বল, বিচ্চু এবং পঞ্চু বাঙালির কাছে আবেগ। এই পঞ্চ পাণ্ডব জটিল রহস্যের সমাধান করেছে বইয়ের পাতায়। দুর্গম পাহাড় থেকে শুরু করে বুদ্ধির ভেলকি, সব জায়গাতেই মাত দিয়েছে তারা। কিশোরদের এই রহস্য উন্মোচনের নেশা বাঙালিকে পাণ্ডব গোয়েন্দার প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছে। ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের লেখনিতে জীবন্ত হয়ে উঠেছিল প্রতিটি চরিত্র। হাওড়ার খুরুটতে জন্মগ্রহণ করেন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। তিনি ছোটবেলা থেকেই অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় ছিলেন।

গোয়েন্দা গল্প, উপন্যাসের প্রতি ছিল অমোঘ টান। ১৯৬১ সালে তিনি প্রথম সারির এক সংবাদ পত্রের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর ১৯৮১ সালে পাণ্ডব গোয়েন্দা তাঁকে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল। রহস্য রজনীগন্ধার কিংবদন্তীর বিক্রমাদিত্য, পুণ্যতীর্থে ভ্রমণ তাঁর এই সৃষ্টিগুলি পাঠকের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।

হাওড়ার রামরাজাতলার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তাঁর পরিবারের এক সদস্য বলেন, “এই নিয়ে তিনবার স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। ডিসেম্বর, জানুয়ারি মাসে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু, মার্চে ফের তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।”

তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসারত ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শুক্রবার সকালে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শোকের ছায়া গোটা পরিবারে। পরিবার সূত্রে খবর, হাওড়া শিবপুর বার্নিং ঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁর লাখ লাখ ভক্ত রয়েছে। সাহিত্যিকের প্রয়াণের খবরে শোকস্তব্ধ তাঁরা। সোশাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন তাঁরা। ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়কে ২০১৭ সালে শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য স্বীকৃতি দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বাংলা আকাদেমি সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়কে।

তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া ভক্ত মহলে। ফেসবুকে এক ভক্ত লিখেছেন, “ছোট থেকেই পাণ্ডব গোয়েন্দা পড়ে বড় হয়ে ওঠা। প্রতিটা চরিত্রের সঙ্গে শৈশবের ভালোলাগা জড়িয়ে রয়েছে। রয়েছে অনেক আবেগও। এখনও এই খবরটা বিশ্বাস করতে পারছি না। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *