জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কথা বলে গ্রেফতার হলেও শেষপর্যন্ত জামিন পেলেন রাজ্য কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। এরপরই এনিয়ে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। মহিলা বিদ্বেষী কথা যারা বলে তাদের বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করলেন শশী পাঁজা।
আরও পড়ুন-গ্রেফতার কৌস্তভ বাগচী! ‘মৌচাকে ঢিল মেরেছি’, প্রতিক্রিয়া কংগ্রেস নেতার
শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের তরফে শশী পাঁজা বলেন, গোটা দেশে একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা তাঁকে ভোট দিয়েছেন এবং যাঁরা ভোট দেননি তাদের সবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কেউ তাঁকে মা হিসেবে দেখেন, কেউ অভিভাবক হিসেবে দেখেন, কেউ দিদি হিসেবে বা কেউ মেয়ে হিসেবে দেখেন। আজ তারা সবাই মর্মাহত। দেখলাম একজন লোক বিভিন্ন চ্যানেলে গেল ও বিভিন্ন মাধ্যমে লজ্জাজনক মন্তব্য করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে। ওই কথা শুনে সবাই বলছেন তারা সবাই লজ্জিত।
শশী পাঁজা আরও বলেন, দেশে মহিলাদের ক্ষমতায়ন কেউ যদি করে থাকেন তাহলে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে রাজ্যে কন্যাশ্রী দেওয়া হয়, লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়া হয় সেই রাজ্যে মহিলাদের আজ ওইসব মন্তব্য শুনে কী মনে হবে বলুন তো? কৌস্তভ বাগচীর মন্তব্যে প্রত্যেকে মর্মাহত। গোটা ঘটনায় আমরা ভীষণ ভাবে লজ্জিত ৷ মহিলাদের ক্ষমতায়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একবার ভেবে দেখুন মহিলাদের অনুভূতি। যিনি মহিলাদের জন্য এত কাজ করলেন, তাকে কি কথা শুনতে হল!
একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে, তিনি যে ধরণের মন্তব্য করেছেন তা যথাযথ নয়। শশী পাঁজার স্পষ্ট কথা, ভালো কথা বলার স্বাধীনতা সবার আছে ৷ তা বলে কুকথা বলার স্বাধীনতা নেই৷ আমরা মনে করি রোদ্দুর রায় আর কৌস্তভ বাগচীর সমান অপরাধ করেছে। আইনি ব্যবস্থা বলছেন? মহিলার বিরুদ্ধে কুকথা বলেছেন তাই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জিরোকে হিরো বানানোর চেষ্টা করিনি আমরা। একটু পিছিয়ে যান, জ্যোতি বসু বা বাম নেতাদের সম্পর্কে বিরোধীরা বা কেউ কিছু কথা বলতো তাহলে খালের কাছে তাদের দেহ পড়ে থাকত। পরিবর্তনটা কি জানেন? গণতন্ত্র যা বলে, আইন যা বলে সেই ব্যবস্থাটাই নেওয়া হয়েছে। আমরা ওঁকে মা হিসেবে দেখি। মায়ের অপমান আমরা সহ্য করব না।
কৌস্তভকে বিঁধে শশী পাঁজা বলেন, ওই রাজনৈতিক কর্মী যে দল থেকে এসেছেন তার শীর্ষে মহিলারাও আছেন। সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আছেন। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব কি ওই নেতার বক্তব্য সমর্থন করেন? স্মৃতি ইরানি যখন সোনিয়া গান্ধীকে আক্রমণ করেন, তখন প্রতিবাদ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই জামিন পাওয়ার পরে ওর ক্ষমা চাওয়া উচিত। তিনি এআইসিসি’তে সুযোগ পাননি বলে, তিনি এভাবে ফ্রাস্টেশন ওগরাবেন সেটা হয় না।
অধীর চৌধুরীর মেয়ের মৃত্যু হল অস্বাভাবিক। অধীর বাবুও অযোগ্য, নিন্দনীয় মন্তব্য করেছেন। দিদি কারও নাম নেননি। আপনি জয়ী হয়ে যে মন্তব্য করলেন সেটা কি ঠিক? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে উনি অশ্রাব্য মন্তব্য করেছেন তা ক্ষমার যোগ্য নয়। বিন্দুমাত্র গ্লানি থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিন। তাতে উনি নীচু হবেন না, উনি আরও উঁচু হবেন।