জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের বিসি রায় শিশু হাসপাতালে এক শিশুর মৃত্যু। রবিবার থেকে সর্দি জ্বর কাশি নিয়ে ভর্তি ছিল বিরাটির বাসিন্দা ছয় মাসের ওই শিশু। আই সি ইউ তে ভর্তি করা হয় তাঁকে। শুক্রবার রাত ৯.১০ মিনিট নাগাদ মৃত্য হয়েছে তাঁর। ওই শিশু বিরাটির চার নম্বর গৌরীপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। যদিও ওই শিশুর এডিনো পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং তাঁর ফলাফল নেগেটিভ বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালের তরফ থেকে বলা হয়েছে নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। রাতে ডেথ সার্টিফিকেটের মৃত্যুর কারণ হিসেবেও নিউমোনিয়া দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিসি রায় হাসপাতালে একজন এবং মেডিক্যালে মৃত এক শিশু। নিউমোনিয়ায় মৃত্যু বলে দাবি করে হাসপাতাল। কলকাতায় পরপর শিশুমৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ। পাশপাশি সাড়ে তিন বছরের শিশুর মৃত্যু বি সি রায় শিশু হাসপাতালে। খানাকুলের ওই শিশুকে মঙ্গলবার জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হয় তার।
অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ, সঙ্গে আবার বাড়ছে শিশুমৃত্যুও। দুদিন আগেও কলকাতায় বিসি রায় হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় আরও ২ জনের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, নিউমোনিয়ার আক্রান্ত হয়েছিল দু’জনেই। কিন্তু কোন ভাইরাসের কারণে নিউমোনিয়া সংক্রমণ, তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: SSC: চাকরি গেল ৬১৮ জন শিক্ষকের, নিয়োগপত্র প্রত্যাহার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের
মুখ্য়মন্ত্রী যেদিন নবান্নের জরুরি বৈঠক করেন, সেদিনই অ্যাডিনোভাইরাস মোকাবিলায় নয়া নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্যভবন। নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়, সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে পেডিয়াট্রিক অ্যাকিউট রেসপেরিটরি ক্লিনিক (ARI)। মেডিক্যাল সুপারিনট্যান্ড্যান্ট অথবা অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও অসুস্থ শিশুকে রেফার করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Kaustav Bagchi: গ্রেফতার কৌস্তভ বাগচী! ‘মৌচাকে ঢিল মেরেছি’, প্রতিক্রিয়া কংগ্রেস নেতার
স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতালগুলিকে এনিয়ে তৈরি থাকতে নির্দেশ দিলেও পরিস্থিতি কতটা ঘোরতর তা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। অধিকাংশ হাসপাতালে বাড়ছে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। ফলে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা শিশুদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।