জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে এবার ভিন্ন মত দলের অন্দরে। এবার এই গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ নিজে। শনিবার দুপুরে মেডিক্যাল টেস্টের পরে ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়ে আসা হয় কৌস্তভ বাগচীকে। সেখানে প্রবল বিক্ষোভ দেখানো হয় কংগ্রেসের তরফে। তাঁর গ্রেফতারিকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলছেন কৌস্তভের আইনজীবী। পাশপাশি ফেসবুকে পোস্ট করে কুণাল ঘোষ এই গ্রেফতারিকে অপ্রয়োজনীয় বলেছেন।
ফেসবুক পোস্টে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘কৌস্তুভ বাগচির গ্রেপ্তার সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত মতামত। কৌস্তুভ অন্যায় করেছে। মাতৃসমা মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে ওই ধরণের চরম কুৎসা বরদাস্ত করা যায় না। আমাদের ছাত্রযুবরা কৌস্তভের অসভ্যতা বুঝে নিতে পারত। কিন্তু পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার ঠিক হল না। এতে কৌস্তুভ প্রচার পাবে, বিরোধী শক্তির অশুভ আঁতাতের কুৎসিত রাজনীতির হাতিয়ার হবে, একাংশের মিডিয়ার পক্ষপাতদুষ্ট প্রচারের মুখ হবে, কিছু মানুষের সহানুভূতি পাবে। গ্রেফতারকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করবে তারা। যেদিন পুলিশ সজলের বাড়ির দরজা ভেঙেছিল, আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। পরে প্রমাণিত হয়েছে আমার প্রতিবাদ সঠিক ছিল। লাভ হয়েছিল সজলের। মধ্য কলকাতায় একটি ওয়ার্ড জিতেছিল বিজেপি। সেদিন পুলিশি অভিযানের ধরণ ছিল ভুল। আজও আমি কৌস্তুভের গ্রেফতারের বিরোধিতা করছি। এতে ওর এবং বিরোধীদের রাজনৈতিক লাভ হবে। কৌস্তুভ অন্যায় করেছে। ওর অপরিণত, অসৌজন্যের কথার প্রবণতা আছেই। কিন্তু তার জবাব রাজনৈতিকভাবে আমাদের ছাত্রযুবরা দিতে পারত। পুলিশি অভিযান ঠিক হল না। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সজলের দরজা ভাঙার ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল’।
আরও পড়ুন: SSC recruitment Scam: ‘ঋণ দিয়েছিলেন কুন্তল’, ইডির কাছে দাবি ‘কুন্তল ঘনিষ্ঠ’ সোমার!
ভোর রাত তিনটে নাগাদ তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে যায় বড়তলা থানার পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে কৌস্তভকে বড়তলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অধীর চৌধুরী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে সাংবাদিক বৈঠক করাতেই জিজ্ঞাসাবাদ বলে অভিযোগ কৌস্তভের। তিনি বলেন, ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি। মৌচাকে ঢিল মেরেছি। তাই আমার বাড়িতে পুলিস।’
সাগরদিঘি নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ করেছেন বলে দাবি কংগ্রেসের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন অধীরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন, মেয়ে-বউয়ের মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন কৌস্তভ। শনিবার সকালেই কৌস্তভের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন অধীর। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, তৃণমূল সুপ্রিমোর জবাবে পাল্টা কৌশল নেয় প্রদেশ কংগ্রেস। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে নিয়ে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার দীপক ঘোষের লেখা বইয়ের সফট কপি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।