ফোনে এই সময় ডিজিটালের মুখোমুখি হয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি। কৌস্তভের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যেই আমার ঘটনা ঘটে। শুধু গ্রেফতার নয়, মারধর ও হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি আমার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। গত ১১ বছর ধরে সেই পরম্পরা চলছে। একটাই উদ্দেশ্য, সরকারকে কোনও প্রশ্ন করা চলবে না। প্রশ্ন করলেই গ্রেফতার, মারধর করা হবে অথবা নওশাদ সিদ্দিকির মতো জেল আটকে রাখা হবে। সেই পরম্পরাতেই কৌস্তভের ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রকে হত্যা করে স্বাধীন মত প্রকাশের উপর আক্রমণ হয়েই চলেছে। কারণ এটা ছাড়া এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছেন যে তিনি গুন্ডাদের ‘কন্ট্রোল’ করেন। এটা কোনও গণতন্ত্রের ভাষা নয়। মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী মুক্ত রাজ্য ও প্রশাসন চালাতে চান।”
কৌস্তভের জামিনের পর কী সরকারে মুখ পুড়ল? এই প্রশ্নের জবাব অম্বিকেশ বলেন, “যাঁদের লজ্জাবোধ রয়েছে এতে তাঁদের মুখ পুড়বে। কিন্তু সরকার জানে এই পথে তাকে হাঁটতেই হবে, তাতে মুখ-চোখ পুড়লে কিছু যায় আসে না। নওশাদের মুক্তির পরও সরকারে কোনও উপলব্ধি নেই। এটা দুষ্কৃতীদের সরকার।”
অম্বিকেশ বলেন, “আজকের যিনি মুখ্যমন্ত্রী তিনি বিধানসভায় ঢুকে সংবিধান হাতে নিয়ে ভাঙচুরে নেতৃত্বে দিয়েছিলেন। গণতন্ত্রের পীঠস্থানের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। তিনি কী করে রাজ্যে গণতন্ত্র কায়েম করবেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর গণতন্ত্র কাঁঠালের আমসত্ত্বের মতো।”
অম্বিকেশের মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন বলেন, “গণতন্ত্রর নামে যদি একজন মহিলা মুখ্যমন্তীর নামে অশালীন মন্তব্য বা কুৎসা করা হয়, সেটাকে আমি কখনই সুস্থ গণতন্ত্র বলে মনে করি না। এই কাজের পক্ষে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদেরকে আমি সুস্থ মস্তিস্কের বলে মনে করি না… গ্রেফতার করা প্রশাসনের কাজ সেই কাজ তারা করেছে। আইনের কাজ জামিন দেওয়া। বরং এটা প্রমাণিত হল যে ন্যায্য ধারা দেওয়া হয়েছে বলেই তিনি জামিন পেয়েছেন।”