কমিশনারেট সুত্রে খবর, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বাগুইআটির অর্জুনপুরের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা দাস। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হঠাৎই তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। বলা হয়, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা থেকে ফোন করা হচ্ছে। তিনি যে ঋণ নিয়েছেন, সেই টাকা এখনই ফেরত না-দিলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এই শুনে স্বাভাবিক ভাবেই ভয় পেয়ে যান প্রিয়াঙ্কা। তাদেরই পাঠানো অ্যাকাউন্ট নম্বরে প্রথমে ১৮,২৩৩ টাকা পাঠিয়ে দেন তিনি। তার পর তারা ফোন করে ফের চাপ দেওয়াতে আরও ৫৫ হাজার টাকা পাঠান তাদের দেওয়া অ্যাকাউন্ট নম্বরে। এই ভাবে মোট প্রায় ৭৫ হাজার টাকা দেন তিনি।
কিন্তু টাকা দেওয়ার পরেও যে সংস্থা থেকে তিনি লোন নিয়েছেন তাদের তরফ থেকে কোনও মেসেজ না-আসায় প্রিয়াঙ্কার সন্দেহ হয়। তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় খোঁজ নেন। তখনই তিনি জানতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
সে দিনই সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তদন্তে নেমে দমদম এলাকা থেকে সোমনাথ ও সুদীপ্তকে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। শুক্রবার তাদের বিধাননগর এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।