একইসঙ্গে এদিন ED-র আইনজীবী বলেন, “ওঁর চিকিৎসার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করব। প্রয়োজনে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে দিল্লি AIIMS-এ নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, ফিসচুলা ফেটে গিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তিনি, এমনটাই আসানসোল আদালতে দাবি করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার সকালে তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়। হাসপাতালের সুপার জানিয়েছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলের ওজন কিছুটা বেড়েছে। এরপরেই তাঁকে সংশোধনাগারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী ১৭ মার্চ পর্যন্ত এই নেতাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন।
এদিন ED-র আইনজীবী বলেন, “দিল্লি হাইকোর্টে এই একই ইস্যুতে মামলা দায়ের করা হয়েছে এই বিষয়টি বলা হয়নি কলকাতা হাইকোর্টে। এটা ফোরাম শপিং ছাড়া আর কিছু নয়। একই বিষয় নিয়ে ঘুরে ঘুরে অর্ডার পাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ” যদিও অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী বলেন, “দুই আদালতে আবেদন দুরকম করা হয়েছে।”
যদিও এই দাবি নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নয় আদালত। উল্লেখযোগ্যভাবে, দিল্লি হাইকোর্টও অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাওয়ার উপর কোনও স্থগিতাদেশ জমা দেয়নি।
এদিন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী বলেন, “ইডি দিল্লি হাইকোর্টে আশ্বাস দিয়েছিল এখনই কোনও পদক্ষেপ করবে না।” পালটা বিচারপতি বলেন, “আপনারা মৌখিক বক্তব্যের ভিত্তিতে এখন এই আবেদন করেছেন? চার মাস এই মৌখিক আশ্বাসের ভরসাতে ছিলেন। কেন তা রেকর্ড করলেন না?”
অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী পালটা দাবি করেন ২১ ডিসেম্বর ED মেল করে জেল কর্তৃপক্ষকে। সেখানেই জানানো হয়েছিল যে এখন কোনো পদক্ষেপ করা হবে না। অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করেন তাঁর আইনজীবী।
বিশেষজ্ঞকে দিয়ে তাঁর চিকিৎসা করানো হোক এবং তা আদালতে জানানো হোক। আর সেই সময়ের জন্য ৭ মার্চ পর্যন্ত দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ চেয়েছেন তাঁর আইনজীবী। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে কিনা বা সেই বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্ট করবে কিনা এখন তাই দেখার।