Dilip Ghosh : ‘আর দিও না, ডাক্তারের কাছে যাব’, মহিলাকর্মীর ওড়না টেনে কপালের আবির মুছলেন দিলীপ – dilip ghosh celebrate holi with bjp workers and says many thing about several political issues


West Bengal News: শনিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আগামী সপ্তাহে মঙ্গলবার দোল, বুধবার হোলি। কিন্তু প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে এদিন থেকেই কার্যত দোল উৎসবের সূচনা করে দেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। দিলীপ ঘোষের কপালে আবির লাগানোর পাশাপাশি চলে আলাপাচারিতা। হালকা মেজাজে উপভোগ করেন দিলীপও।

চায়ের কাপে চুমক দিয়ে কর্মী সমর্থকদরে সঙ্গে নির্ভেজাল আড্ডা উপভোগই করছিলেন খড়গপুরের সাংসদ। কর্মীদের উদ্দেশে দিলীপকে বলে শোনা যায়, “আর কতো রং দেবে!” সেখানেই হঠাৎ এক মহিলা বিজেপি সমর্থক দিলীপের কপালে আবির লাগিয়ে দেন। কপাল থেকে আবির তাঁর গায়ে পড়তেই খানিক বিরক্ত হন দিলীপ। তিনি বলেন, ” ধ্যাত! দেখেছেন জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”


এরপরই ওই মহিলা বিজেপি কর্মীর ওড়না টেনে নিয়ে কপাল আবির মুছতে দিলীপ বলেন, “আর রং দিও না, ডাক্তারের ক্লিনিকে যাব।” বিজেপি কর্মীদেরকে আশীর্বাদও করেছেন দিলীপ। এমনকী সবাইকে চা-মিষ্টি খাওয়ানোর কথা বলেছেন।

এদিন একাধিক রাজনৈতিক ইস্যুতেও মুখ খোলেন দিলীপ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির গ্রেফতারি নিয়েও মুখ খুলেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, “ওনার কাছে নিশ্চিত তথ্য ছিল বলেই জোর গলায় বলেছেন। আমি জানিনা উনি কার বিরুদ্ধে কী বলেছেন। যদি জিজ্ঞাসাবাদ হয় তাহলে বেরোবে। প্রতিহিংসার রাজনীতি বা কাউকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য কোনও কথা বলা হলে সেটা ঠিক নয়।”

BJP : উত্তর-পূর্বে জয়, বিজেপির ‘ভালো’ ফল কতটা ভালো
সাংসদ অপরূপা পোদ্দার দলের একাংশকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন। সেই ইস্যুতে দিলীপ বলেন, “তৃণমূলের মধ্য দম বন্ধ করা পরিবেশ, অনেকে এর মধ্যেই টিকে রয়েছেন। দম বন্ধ করে থাকতে পারছেন না। পেটের জন্যে হোক বা অস্তিত্বের জন্য হোক থাকতে হচ্ছে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বলেই দিচ্ছেন প্রকাশ্যে।”

Dilip Ghosh : ‘…বাকিদের আর উৎসব করার সুযোগ থাকবে না’, ভোটের ফল নিয়ে মন্তব্য দিলীপের
সাগরদিঘির ফলাফল নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ। তিনি বলেন, “তৃণমূল হেরে যাওয়ার কারণে বাম-কংগ্রেস, বিজেপি-আঁতাতের অভিযোগ তুলছে। অন্যদের দোষ না দিয়ে নিজেদের আত্মসমালোচনা করা উচিৎ। অন্যদের দোষ দেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সবাই অসন্তুষ্ট। চাকরির জন্য, ডিএ, পেনশনের জন্য ধরনা দিচ্ছে। পরীক্ষা দিয়েও চাকরি হয় না। এই ফলের জন্য এই সব কিছুর প্রভাব রয়েছে। আজ এমন একটা জায়গায় তৃণমূল দাঁড়িয়ে আছে নেতা বাঁচাবে না পার্টি বাঁচাবে নাকি সরকার বাঁচাবে, ওরাই ঠিক করতে পারছেন না।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *