এরপরই ওই মহিলা বিজেপি কর্মীর ওড়না টেনে নিয়ে কপাল আবির মুছতে দিলীপ বলেন, “আর রং দিও না, ডাক্তারের ক্লিনিকে যাব।” বিজেপি কর্মীদেরকে আশীর্বাদও করেছেন দিলীপ। এমনকী সবাইকে চা-মিষ্টি খাওয়ানোর কথা বলেছেন।
এদিন একাধিক রাজনৈতিক ইস্যুতেও মুখ খোলেন দিলীপ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির গ্রেফতারি নিয়েও মুখ খুলেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, “ওনার কাছে নিশ্চিত তথ্য ছিল বলেই জোর গলায় বলেছেন। আমি জানিনা উনি কার বিরুদ্ধে কী বলেছেন। যদি জিজ্ঞাসাবাদ হয় তাহলে বেরোবে। প্রতিহিংসার রাজনীতি বা কাউকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য কোনও কথা বলা হলে সেটা ঠিক নয়।”
সাংসদ অপরূপা পোদ্দার দলের একাংশকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন। সেই ইস্যুতে দিলীপ বলেন, “তৃণমূলের মধ্য দম বন্ধ করা পরিবেশ, অনেকে এর মধ্যেই টিকে রয়েছেন। দম বন্ধ করে থাকতে পারছেন না। পেটের জন্যে হোক বা অস্তিত্বের জন্য হোক থাকতে হচ্ছে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বলেই দিচ্ছেন প্রকাশ্যে।”
সাগরদিঘির ফলাফল নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ। তিনি বলেন, “তৃণমূল হেরে যাওয়ার কারণে বাম-কংগ্রেস, বিজেপি-আঁতাতের অভিযোগ তুলছে। অন্যদের দোষ না দিয়ে নিজেদের আত্মসমালোচনা করা উচিৎ। অন্যদের দোষ দেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সবাই অসন্তুষ্ট। চাকরির জন্য, ডিএ, পেনশনের জন্য ধরনা দিচ্ছে। পরীক্ষা দিয়েও চাকরি হয় না। এই ফলের জন্য এই সব কিছুর প্রভাব রয়েছে। আজ এমন একটা জায়গায় তৃণমূল দাঁড়িয়ে আছে নেতা বাঁচাবে না পার্টি বাঁচাবে নাকি সরকার বাঁচাবে, ওরাই ঠিক করতে পারছেন না।”