এই নিয়ে সাদা কাগছে কালো ছাপার অক্ষরের পোস্টার ছাপিয়ে এলাকায় সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও পোস্টারে লেখানো রয়েছে, “ঘুষের বিনিময়ে রেশন ডিলার আব্দুল গনির পরিবার নতুন করে ফের ডিলারশিপ দেওয়া হল কেন”, আবার কোনও পোস্টারে লেখা, ” অবৈধভাবে কেন বেকার যুবককে না দিয়ে একজন রেশন ডিলার রক্তের সম্পর্ক তার মেয়ের রেশন ডিলারের লাইসেন্স পাইয়ে দেয়া হলো প্রশাসন তুমি জবাব দাও।” এই ধরনের পোস্টারকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
এলাকাবাসী স্থানীয় আব্দুল গনির পরিবারে বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, সরকারি নিয়মই রয়েছে সরকারি চাকরিজীবী বা একই পরিবারের একাধিক সদস্য রেশনের ডিলারশিপ পাবেন না। তাহলে কোন আইনে একই পরিবারের দু’জনকে রেশনের ডিলারশিপ দেওয়া হল, প্রশ্ন এলাকাবাসীর। এমনকী তাঁদের অভিযোগ ওই পরিবারে একজন সরকারি চাকরিও করেন।
এই ঘটনায় এলাকাবাসী আব্দুল গনি ও তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। যদিও অভিযুক্ত আব্দুলের দাবি, তাঁর মেয়ে এখন বিবাহিত। কীভাবে সে লাইসেন্স পেল তা একমাত্র সরকার বলতে পারবে। সরকারি চাকুরীজীবীর স্ত্রী হয়ে কীভাবে মেয়ে লাইসেন্স পেল তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর দেননি আব্দুল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের মোটা টাক ঘুষ দিলে রেশনের ডিলারশিপ নেওয়া হয়েছে। সেই কারণে একাধিক সরকারি দফতরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
রেশন দোকান মালিক আব্দুল গনি বলেন, “আমি ৪৬ বছর ধরে রেশন দোকান চালাচ্ছি। আমার মেয়েকে ডিলারশিপ সরকার দিয়েছে, কবে দিয়েছে আমি জানি না। আবেদনের ভিত্তিতে ডিলারশিপ পেয়েছে জানি। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, সে এখন আমার পরিবারের না। কারণ সে এখন অন্য বাড়িতে থাকে। এই পোস্টার কারা মেরেছে আমি বলতে পারব না।”
রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে যোগ্য চাকরিপ্রার্থী রাস্তার উপর বসে আন্দোলন করছেন। আদালতের রায়ে একের পর এক চাকরি যাচ্ছে। সেখানে রেশন দোকানের ডিলারশিপ ঘিরেও দুর্নীতির অভিযোগে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।