সৌরভের অনুরোধ রাখতে তৎপর পুরসভা
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, লোয়ার রওডন স্ট্রিটে জল জমার সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই এলাকার ভূগর্ভস্থ জলের পাইপ সংস্কারের কাজ চলছে। রবিবারের মধ্যেই এই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলেও খবর।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের এক আধিকারিক বলেন, “লোয়ার রওডন স্ট্রিটের প্রায় ১৫ মিটার চওড়া এলাকা জুড়ে নতুন ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন বসানোর কাজ হচ্ছে। ৬০০ মিলিমিটার ডায়ামিটারের একটি নতুন পাইপ বসানো হবে সেখানে।” তিনি আরও জানান, ওই এলাকায় মাটির নীচের পুরনো পাইপটি মরচে ধরে গিয়েছিল। ফলে নিকাশী সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ফলে মেরামতের প্রয়োজন ছিল। পুরসভা আশাবাদী এই সংস্কারের পর এলাকায় আর বর্ষার জল দাঁড়াবে না। স্বস্তি পাবেন মহারাজ।
ব্যাহত যান চলাচল
তবে এই নিকাশীনালার কাজের জেরে ওই এলাকার যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। এজেসি বোস রোডের এক্সাইডের ধারের রাস্তায় এই কাজ চলার দরুন বেগবাগান থেকে মিন্টো পার্ক পর্যন্ত গাড়ির গতি স্লথ হচ্ছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ নামানো হয়েছে। তবে আপাতত সকালে পার্ক স্ট্রিট এবং সন্ধ্যায় শেক্সপিয়ার সরণী ধরে গাড়ি চলাচল করছে। তারপর গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এক্সাইড ক্রসিং থেকে জওহরলাল নেহরু রোডের দিকে।
কী অনুরোধ ছিল সৌরভের?
বর্তমানে বেহালা (Behala) ছেড়ে তিনি লোয়ার রওডন স্ট্রিটের বাসিন্দা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু, বেহালার মতো সেখানেও জমা জলের সমস্যা থেকে রেহাই মেলেনি তাঁর। বৃষ্টি হলেই জল জমছে সৌরভের বিলাসবহুল বাংলোর (Sourav Ganguly New House) সামনে। অগত্যা সমস্যার সমাধান পেতে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহারাজ। চিঠি লিখে জানান, “বড্ড জল জমে। একটু দেখুন…।”
রতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় লেখেন, “বাড়িটিতে তিনি আগামীদিনে বসবাস করবেন। তার জন্য সেখানে পরিকল্পনামাফিক কিছু নির্মাণও দ্রুত শুরু হবে। বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন পেতে কয়েক দিনের মধ্যেই কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কাছে আবেদনও জানাবেন তিনি। জল জমার সমাধানে তাই কলকাতা পুরসভা যেন শীঘ্রই পদক্ষেপ নেয়, সে বিষয়ে একান্ত অনুরোধ মহারাজের।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মে মাসে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮/১ এ, লোয়ার রওডন স্ট্রিটের বাংলোটি ক্রয় করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।