ওই ব্যক্তির বয়ান অনুযায়ী তাঁর বাড়ি কলকাতার (Kolkata) নিউ আলিপুরে। ওই ব্যক্তির নাম পল্টু মন্ডল, বয়স ৩৮ বছর। বাড়িতে তিনি আর তার মা বর্তমান। প্রথম অবস্থায় ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানায় তাঁকে তার বন্ধুরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। পরবর্তী সময়ে বয়ান বদল করে ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানায় নিউ আলিপুর স্টেশন থেকে বজবজের দিকে আসা একটি পণ্যবাহী ট্রেনের উপরে উঠেছিল সে।
স্টেশনের কাছাকাছি সে বিদ্যুতের সংস্পর্শে আসার ফলে তার গায়ে থাকা পোশাকে আগুন লেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই পল্টু উপর থেকে নিচে ছিটকে পড়ে। তবে মাদকাসক্ত ওই ব্যক্তির বয়ানে যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। কারণ, পুলিশের দাবি পণ্যবাহী ট্রেনের ওপর থেকে সে নিচে পড়ে গেলে তার শরীরে বড় কোন আঘাতের চিহ্ন থাকতো।
পাশাপাশি হাইভোল্টেজ বিদ্যুতের সংস্পর্শে এই ব্যক্তি আসলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু নিশ্চিত ছিল। তবে ঘটনার সত্যতা যাই থাকুক আপাতত মহেশতলা থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার সত্যতা সন্ধানে নেমেছে। মহেশতলা থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা এই মুহূর্তে বিশেষ কিছু বলতে রাজি হননি।
ওই ব্যক্তি একটু সুস্থ হলে তাঁকে ভালোভাবে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “রোজকার মতন আজ সকালেও আমি ওই রাস্তা দিয়ে প্রাতঃভ্রমণ করছিলাম। হঠাৎ দেখলাম এক ব্যক্তি অর্ধ দগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন। গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি আমি ও আরও কয়েকজন।
কিন্তু কথাবার্তা ঠিকঠাক বুঝতে পারিনি। তখনই ঠিক করি যে পুলিশে খবর দেওয়া দরকার। কারন ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করারও দরকার ছিল। ওই অবস্থায় ফেলে রাখলে তাঁর প্রাণসংশয়ও হতে পারত”।
কিন্তু ওই ব্যক্তি কিভাবে এখানে এসে পৌঁছলেন, তা বলতে পারছেন না পথচলতি মানুষ বা স্থানীয় দোকানদার কেউই। এমনকি তাঁর গায়ে এখানেই আগুন লেগেছে নাকি অন্য কোথাও আগুন লাগিয়ে তাঁকে এখানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে, এই বিষয়টিও এই মুহূর্তে পরিষ্কার নয়।