তাম্রলিপ্ত পুরসভার অন্তর্গত দশ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ক্লাবের জমি নিয়ে ও জলের সংযোগ নিয়ে সমস্যার সমাধানের জন্য পুরসভার চেয়ারম্যানের ঘরের মধ্যেই শুনানি চলছিল শুক্রবার। সেই সময় ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতিকে চড় মারেন INTTUC নেতা তথা এই ক্লাবের সভাপতি পঞ্চানন খামরুই। সরকারি দফতরে কাউন্সিলরকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার তাম্রলিপ্ত পুরসভার আধিকারিক ও কর্মচারীরা পেন ডাউন কর্মসূচি পালন করেন।
অধিকারিক ও কর্মচারীরা পুরসভায় এলেও তারা কলম ধরেননি। এই বিষয়ে তাম্রলিপ্ত পুরসভার এক আধিকারিক জানান, “পুরসভার শুনানি চলাকালীন একজন বাইরের লোক পুরসভারই এক কাউন্সিলরকে প্রকাশ্যে চড় মারছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা কেউই তা মেনে নিইনি। তাই আজকের এই পেন ডাউন।
আজ পুরসভার সমস্ত কর্মচারী এই পেন ডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন। যদি ওই ব্যক্তি চড় মারার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, তাহলে আমরা পড়ে গিয়ে আরও বড় আন্দোলনে নামব”। এদিকে গতকাল এই চড় কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক (Tamluk) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেনকুমার মহাপাত্রর এক মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এই ঘটনায় তিনি দায়ী করেছেন আক্রান্ত কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতিকেই। তাঁর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি তথা তাম্রলিপ্ত পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি সৌমেনকুমার মহাপাত্রর দিকে তোপ দেগে জানান, “জেলায় বিভিন্ন অবৈধ কাজ করে অর্থ উপার্জন করছেন জেলা সভাপতি সৌমেনকুমার মহাপাত্র। নার্সিংহোম গড়ে তোলার অনুমতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা নিচ্ছেন”।
পালটা উত্তর দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেনকুমার মহাপাত্রও। তিনি বলেন, “আমি জেলার প্রতিনিধি আর উনি রাজ্যের প্রতিনিধি। উনি যদি আমার উপর করা অভিযোগ প্রমান করতে পারেন তাহলে আমি ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দেব। দলকে ব্যবস্থা নিতে হবে না তার আগে আমি নিজেই নিজের ব্যবস্থা নেব”।
স্বভাবতই পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলার দুই শীর্ষ নেতার এমন আঁকচাআঁকচিতে বিপদে পড়েছেন দলের জেলা নেতৃত্ব। একেই সাগরদীঘি উপনির্বাচনে জুটেছে বড় হার। সেই সঙ্গে জায়গায় জায়গায় গোষ্ঠী কোন্দল ও নেতাদের মধ্যে বাকযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছুটা চাপে পড়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।