পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে প্রায় ৪৫ মিনিট পর অবরোধ ওঠে৷ এরপর স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। এদিকে পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হিলি গভর্মেন্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল অনুপম ভৌমিক।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হিলি গভর্মেন্ট পলিটেকনিকাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থীদের ফলাফল বেরিয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে তৃতীয় বর্ষের ইলেক্ট্রিকাল, সিভিল ও মেকানিকাল এই তিনটি বিভাগের বেশিরভাগ পড়ুয়া পরীক্ষায় ফেল করেছে। আবার কারও ফলাফলে ‘ইয়ার ব্যাক’ এসেছে। এদিকে যারা পরীক্ষায় ফেল করেছে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চাকরি পেয়ে গিয়েছে।
কিন্তু তাদের ফলাফল অকৃতকার্য আসায় তাদের চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। শুধুমাত্র হিলিতে নয়,পশ্চিমবঙ্গের ১৭৫ টি কলেজে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ অকৃতকার্যদের। এদিকে বিষয়টি সামনে আসতেই পরীক্ষায় পাশ করানোর দাবিতে প্রথমে পলিটেকনিকাল কলেজের (Polytechnic College) সামনে ও পরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।
এই বিষয়ে তারকনাথ গিরি নামের এক আন্দোলনকারী ছাত্র বলেন, “এটা হতে পারে না। কয়েকজন যদি অকৃতকার্য হত তাহলে মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু তৃতীয় বর্ষের ইলেক্ট্রিকাল, সিভিল ও মেকানিকাল এই তিনটি বিভাগের বেশিরভাগ পড়ুয়াই ফেল করেছে। এটা কিভাবে সম্ভব? শুধু তাই নয়, রাজ্যের আরও অনেক পলিটেকনিক কলেজে একই অবস্থা হয়েছে।”
আরও এক আন্দোলনকারী রঞ্জন মণ্ডল বলেন, “আমি চাকরি পেয়ে গিয়েছি। আর এবার ফলাফলে দেখছি অকৃতকার্য হয়েছি। এবার আমার চাকরিটাও চলে যাবে। এই ফলাফল থাকলে এরপর আমি আর চাকরি পাব না। এই পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট পড়াশোনা করেছি, যথেষ্ট খেটেছি। আর যা পরীক্ষা দিয়েছিলাম, তাতে ফেল করার মতন পরীক্ষা হয়নি। তাতেও এরকম কেন হল বুঝতে পারছি না। এবার আমার কেরিয়রে দাগ লেগে যাবে যদি এই চাকরিটা চলে যায়”। এই অবরোধের ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় জাতীয় সড়ক জুড়ে। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।