সাংসদের দাবি, সাগরদিঘিতে গুরুত্বপূর্ণ লোকেদের গুরুত্বহীন করে দেওয়ার কারণেই দলের পরাজয় হয়েছে। দল থেকে ফড়েবাজ, তোলাবাজদের বাদ দিলে অনায়াসে জয় সম্ভব ছিল বলে এদিন জোরের সঙ্গে দাবি করেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। রবিবার ভাটপাড়ার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং।
এদিনের অনুষ্ঠান থেকেই দলে ফড়ে, তোলাবাজি শ্রেণির লোকেদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল বলে মত পোষণ করেন তিনি। তবে অর্জুনের দাবি, শিল্পাঞ্চলের পুরনো কর্মীরা ফের একজোট হয়েছেন। নতুন উদ্যমে ফের ময়দানে নেমেছেন দলের পুরোনো কর্মীরা, যাদের দলে গুরুত্বহীন করে দেওয়া হয়েছিল।
এদিনের অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যক্তা ভাটপাড়ার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর বৈদ্য। সাংসদ ছাড়াও হাজির ছিলেন ভাটপাড়ার সিআইসি হিমাংশু সরকার, কাউন্সিলর সোমনাথ তালুকদার ও সীমা মন্ডল, তৃণমূল নেতা সঞ্জয় সিং, মন্নু সাউ, মনোজ গুহ, মানিক নট্ট, সোহন প্রসাদ চৌধুরী। এর আগে সাগরদিঘি নিয়ে তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বকে মুখ খুলতে দেখা যায়।
তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, “তোমার যদি অসুখ হয়, তোমাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। দলকেও মাঝেমধ্যে সিটি-এনজিও এর মধ্যে আসতে হবে! না হলে বুঝবে কি করে, ঈশান কোণে কোথায় মেঘ জমে আছে! আর সেটা বুঝতে পারলাম না বলেই ৫০ হাজারে জেতা আসন ২৩ হাজারে হেরে গেলাম।”
সাগরদিঘি নিয়ে বিশ্বাসঘাতকতার তত্ত্ব তুলে ধরেন তৃণমূলের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারও। সাগরদিঘি কেন্দ্রের নির্বাচনে দলের পরাজয়ের পর্যালোচনা করতে গিয়ে অপরূপা ফেসবুকে লেখেন, “সাগরদিঘিতে দলেরই মীরজাফর একাই সেম সাইড গোল করেছে। দলের কিছু বড় মন্ত্রীর অপকর্মের কারণে আমাদের লালকার্ড দেখতে হয়েছে। মাঠের বাইরে আছে কিছু বড় নেতা এখনও তাঁরা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে দলের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।”
অপরূপা পাশাপাশি মুখ খুলতে দেখা যায়, কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ তথা উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়কেও। এহেন ফলাফল দলের কাছে ‘অশনি সংকেত’ বলে দাবি করে পার্থ জানান, সংগঠনের বিষয়ে পোস্টমর্টেম করা উচিত।