এই মর্মে আগাম নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে নবান্ন। পরিবহণ কিংবা স্বাস্থ্যের মতো জরুরি পরিষেবা যাতে স্বাভাবিক থাকে, সে নিয়েও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার।
শনিবার পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী হুঁশিয়ারির সুরেই বলেন, “পরিষেবা অচল করে কোনও রকম বন্ধ বা ধর্মঘট বরদাস্ত করা হবে না। সিপিএমের আমলে এ সব হতো। এখন এটা হয় না। মুখ্যমন্ত্রী সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন বকেয়া ডিএ দেওয়ার। কিন্তু কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। সমস্ত পরিষেবা সচল রাখতে বলব। কর্মীরা আন্দোলন করতেই পারেন। সেটা তাঁদের অধিকার। কিন্তু সাধারণ মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করে কিছু করা যাবে না।”
মূলত তিনটি দাবি সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মচারী ইউনিয়ন এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এর মধ্যে প্রধান দাবিটিই হলো বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানো। এ ছাড়াও সরকারি কর্মী নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং বিভাজনের রাজনীতি ছেড়ে সুষ্ঠু ভাবে প্রশাসন চালানোর দাবিও রয়েছে।
প্রথম দিকে ভিন্ন অবস্থান নিলেও ১০ মার্চের ধর্মঘটে সামিল হচ্ছে বঙ্গীয় শিক্ষা ও শিক্ষক-কর্মচারী সমিতিও। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চর পক্ষে তাপস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার যে নির্দেশিকাই জারি করুক না কেন, ধর্মঘট হচ্ছেই। রাজ্য সরকারের কোনও হুঁশিয়ারির কাছেই তাঁরা মাথা নত করবেন না বলে জানিয়েছেন।
তৃণমূল-ঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “নীতিগত ভাবে আমরা ধর্মঘটের বিরোধী। সরকারি কর্মচারীদের দাবিদাওয়া আদায়ের জন্যে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া দরকার। সরকারেরও কর্মীদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসা উচিত বলে আমি মনে করি।”