প্রথমে তিনি বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানান। তিনি অনুমান করেন, তাঁর গলায় কিছু একটা আটকে হয়েছে। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাঁর পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেন।
গলার এক্সরে করার পরেই দেখা যায় তার শ্বাসনালীতে একটি সেফটিপিন আটকে রয়েছে। যা অস্ত্রোপচার করেই বের করতে হবে। এর পরেই ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক ডা: পারমিতা রায়ের তত্ত্বাবধানে সাজিদা বিবির অস্ত্রোপচার শুরু হয়।
শ্বাসনালীতে আটকে থাকা সেফটিপিন অস্ত্রোপচার করে বের করে আনা হয়। সফল অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন সাজিদা বিবি। অবশ্য এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: জয়ন্ত সুকুল বলেন, “ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মাঝেমধ্যেই এ ধরনের বিরল অস্ত্রোপচার করা হয়। এবারেও সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে সাজিদা বিবির।”
পরিবারের এক সদস্য বলেন, “উনি জিলিপি খাচ্ছিলেন, সেই সময় কোনওভাবে একটি সেফটিপিন গলায় আটকে যায়। প্রথমে জিনিসটা কী সেটা বোঝা যায়নি। এরপর খাওয়া – দাওয়া করতে খুব অসুবিধা হচ্ছিল। বাড়াবাড়ি হওয়ায় আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসকরা এক্স রে বুঝতে পারেন গলার মধ্যে সেফটিপিন আটকে। এরপর এক অস্ত্রোপচার হয়েছে।”
পরিবারের লোকজন সাজিদা বিবির গলা থেকে আটকে যাওয়া বস্তুটি নিজেরাই প্রথমে বার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সফল হননি। সাজিদা বিবির শরীর আরও অসুস্থ হওয়ায় তাঁরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁকে।
সাজিদা বিবির পরিবারের লোকজন জানায়, গলার শ্বাসনালীতে সেফটিপিন আটকে পড়াতে খুব সমস্যায় পড়ে গেছিলেন তারা। শ্বাসনালীতে সেফটিপিন আটকে যাওয়ায় চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু ডায়মন্ড হারবার গভ: মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের তৎপরতায় সফল অস্ত্রপচারের ফলেই নতুনভাবে প্রাণ ফিরে পায় সাজিদা বিবি।
এনিয়ে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান সাজিদা বিবির পরিবারের লোকজন। বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ সাজিদা বিবি।