Kolkata News: জ্বর-শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি ২ শিশুর মৃত্যু – two child died at bc roy hospital with symptoms of fever and respiratory problems


জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় রাজ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সূত্রের খবর, রবিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত বিসি রায় শিশু হাসপাতালে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল।

তাদের মধ্যে একটি শিশুর পরিবার মেটিয়াবুরুজ এবং অপর জন মিনাখাঁর বাসিন্দা। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল তারা। সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এরই মধ্যে জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় শিশু-মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল।

Mamata Banerjee : ‘সেরকম কোনও ঘটনা নয়’, রাজ্যের অ্যাডিনো পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
এদিকে কোনওভাবেই যাতে রাজ্যে শিশুমৃত্যুর ঘটনা না ঘটে এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় কোনও খামতি না থাকে সেজন্য বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তিনি বলেন, “শিশুমৃত্যুর ঘটনা আমাদের কাছে অত্যন্ত দুঃখের। হাওয়া বদলের জন্য শিশুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় অনেক সময়। যাদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয় তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত বেশি থাকে। মানুষের ভয় কাজে লাগিয়ে কিছু মানুষ ব্যবসা করতে চাইছে।”

Adenovirus : কলকাতায় ফের অ্যাডিনোর থাবা, আরও ২ শিশুর মৃত্যু
এখানেই শেষ নয়, তাঁর সংযোজন ছিল, “সত্যি বললে আমাদের সমস্যা নেই। রাজ্যে শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে পাঁচ হাজার বেড এবং ৬০০ শিশু চিকিৎসককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।” কোভিডের আতঙ্ক এখনও সাধারণ মানুষের মন থেকে যায়নি। সেক্ষেত্রে অন্যান্য যে কোনও ভাইরাস এলেই তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন তাঁরা।

পাশাপাশি চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যাডিনো ভাইরাসের জিনগত কোনও পরিবর্তন হয়নি। ফলে সেই দিক থেকে অনেকটাই স্বস্তি। একইসঙ্গে গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী চিকিৎসকরাও।
Adenovirus : একটি শিশুরও যেন মৃত্যু না হয়, নিশ্চিত করতে হবে : মমতা
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য সরকারের তরফে একটি হেলপ লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। এই হেলপ লাইন নম্বরটি হল ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২। চিকিৎসকরা বলছেন, “শিশুর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলেই যে তারা অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে তা নয়। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।

কোনও শিশুর জ্বর হলে তাকে তৎক্ষনাৎ স্থানীয় হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কোনওভাবেই বাড়িতে যাতে চিকিৎসা করা না হয় এবং কোনও টোটকার উপর যাতে ভরসা না রাখা হয় সেই বিষয়ে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরমর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *