উল্টোদিকে, আইন মেনেই ট্রাফিক নিয়ম মেনে জরিমানা করা হয়েছে বলে দাবি ইংরেজ বাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। ট্যাক্স ফেল করা গাড়িতে চেপে ঘোরার অভিযোগে জরিমানা দিতে হল হবিবপুরের BJP পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ত্রিদিপ রায়কে। যদিও এই ঘটনায় পিছনে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
পাশাপাশি তিনি জানান, গাড়ি ব্লক অফিস থেকে দেওয়া হয়েছিল। গাড়ি তাঁর নিজেরও নেই। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গাড়ির বেশ কিছু নথিপত্র মেয়াদ শেষ হওয়ার ফলে RTO দফতর সাড়ে ২৩ হাজার টাকা ফাইন করে পঞ্চায়েত সভাপতিকে।
এ বিষয়ে হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি BJP-র ত্রিদিপ রায় জানান, গাড়ির নথিপত্র ফেল রয়েছে কিনা সেটা তিনি জানতেন না। কারণ গাড়িটি তাঁর নিজস্ব নয়। হবিবপুর ব্লক থেকে তাঁকে গাড়িটি বরাদ্দ করা হয়েছিল।
বিশেষ কাজে তিনি জেলা প্রশাসন ভবনে এসেছিলেন, তখনই RTO বিভাগ গাড়িটি হাতের কাছে পেয়ে সাড়ে ২৩০০০ টাকা স্পট ফাইন করে। তিনি জানান, বিষয়টি দফতর তাঁকে আগে জানাতে পারত। কিছু সময়ও দিতে পারতো কিন্তু সেটা দফতর করেননি।
ত্রিদিপ রায় বলেন, “আমার গাড়িটি কমার্শিয়াল গাড়ি ছিল। গাড়ির মালিক আমি নয়। আমি স্পট ফাইন দিয়ে সেখান থেকে চলে আসি।”
এদিকে RTO দফতরের নাম প্রকাশ্য অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানান, বেশ কিছুদিন যাবৎ ধরেই ধারাবাহিকভাবে বেনিয়মে বা সরকারি গাইডলাইন না ভেবে যাঁরা গাড়ি চালাচ্ছেন, তাঁদের আমরা স্পট ফাইন করছি। সেই হিসেবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গাড়িরও একাধিক নথির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই অনলাইনে থেকে রশিদ কেটে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, সরকারি আইন মেনে গাড়ি চালানো উচিত যারা সরকারের ট্যাক্স না দিয়ে গাড়ি চালাবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট দফতর। সেটাই করা হয়েছে এখানে। কোনও নেতা বা জনপ্রতিনিধি বলে কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। আইন সবার জন্যই।
কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “আজকে হবিবপুরের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গাড়ির ট্যাক্স ফেল ছিল। তাই আরটিও দফতর তাঁকে ফাইন করেছে, এখানে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে কিছু নেই। তিনি যা বলছেন তাতে সম্পূর্ণ এটি রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করে সত্যকে ঢাকার চেষ্টা করছেন।”