সুতপা সেন: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কেন হার? অন্তর্তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘কী কী সমস্য়া হয়েছেন দেখুন’, বললেন ফিরহাদ, অরূপ, জাকির, সিদ্দিকুল্লাদের। সূত্রের খবর তেমনই।
ব্যবধান মাত্র ২২ মাসের। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এবার সাগরদিঘি কেন্দ্রটি হাতছাড়া হল তৃণমূলের। কীভাবে? উপনির্বাচনে ২২ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতলেন বাম-কংগ্রেস জোটপ্রার্থী বায়রন বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: DA, Mamata Banerjee: ‘ডিএ দেওয়ার ক্ষমতা নেই’, বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার বৈঠক তখন শেষ। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ছিলেন বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। জানতে চান, ‘গত ১২ বছরে সংখ্যালঘুদের জন্য় প্রচুর কাজ হয়েছে। তারপরেও কেন সাগরদিঘির এই হাল? কোথায়, কোথায় কেন ক্ষোভ’? স্রেফ অন্তর্তদন্তই নয়, সংখ্যালঘু এলাকায় নজর দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষ, ‘এখন থেকে রোজই অন্তর্তদন্ত করতে হবে। নির্বাচনে ওনার হাল ধরা পড়ে গিয়েছে’। সঙ্গে দাবি, ‘সাগরদিঘি কোনও ফল নয়, সিগন্য়াল। তৃণমূলকে ভোট দাও বিজেপিকে ঠেকাতে বা বিজেপিকে ভোট দাও তৃণমূলকে ঠেকাতে, এই বাইনারিটা ধরা পড়ে গিয়েছে’।
এর আগে, যেদিন সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল, সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘সাগরদিঘি উপনির্বাচনে আমরা হেরে গিয়েছি। আমি কাউকে দোষ দেব না। অনেক সময় গণতন্ত্রে ভোটে প্লাস-মাইনাস হয়ে যায়। কিন্তু একটা অনৈতিক জোট হয়েছিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা করি’।