সোমবার সকালে আউশগ্রাম থানার বাগরায় ব্রিজ এলাকায় একটি পুলিশের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাগরাই ব্রিজের কাছে পুলিশের গাড়িটিকে ধাক্কা মারে বাসটি। দুর্ঘটনা লক্ষ্য করেই ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানাতেও। স্থানীয়রা ও পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে বন নবগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে এলে চালককে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
বাকি তিনজনকে বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে চিকিৎসার জন্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের ভ্যানটি ছিল আউশগ্রাম থানার। পুলিশের গাড়িটি বাগরায় ব্রিজ ধরে নামছিল। অন্যদিকে, বেপরোয়া গতিতে আসছিল বাসটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি পুলিশের ভ্যানটিকে ধাক্কা মারে।
পুলিশের এক কর্মী বলেন, “বাসটি বেপরোয়াভাবে আসছিল। স্থানীয় লোকের মুখে শুনেছি বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গিয়ে সরাসরি পুলিশের গাড়িতে গিয়ে ধাক্কা মারে। এরপর আমাদের থানায় খবর আসে। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে গিয়ে প্রত্যেকেই যথেষ্ট আহত হয়েছেন। সবাইকে আমরা তখনই হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু গাড়ির ক্লার্ককে বাঁচানো যায়নি।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সকালে ফাঁকা রাস্তা পেয়ে বাসটি দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। অন্যদিকে, পুলিশের গাড়িটি নিয়ন্ত্রিত গতিতেই ছিল। মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পুলিশের গাড়িটির যথেষ্ট ক্ষতি হয়। ওই এলাকায় দিয়ে নিয়ন্ত্রণহীন বাস চলাচলের ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে পুলিশের প্রশাসনের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই পূর্ব বর্ধমানে কাটোয়ার ন’নগরের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় একটি বাস। প্রাণ হারান একজন। আহত হন বাসের প্রায় ৫০ জনের বেশি যাত্রী। পুরুষ, মহিলা, শিশু নির্বিশেষে অনেকেই আহত হন। জানা যায়, বাসটি বেপরোয়াভাবে যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। কেতুগ্রামের দধিয়া থেকে কাটোয়া যাচ্ছিল বাসটি। ন’নগরের কাছে বাসটি উলটে যায়। বাসের সামনের কাঁচ ভেঙে উদ্ধার করতে হয় যাত্রীদের।