ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে জোর রাজ্যের
কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে জোর দেওয়ার কথা বারবার বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতর বর্তমানে ছোট এবং মাঝারি শিল্পে বিপুলভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে সিএফসি। বেড়েছে ক্লাস্টারের সংখ্যাও। পণ্যের গুণমান যাচাই করা থেকে শুরু করে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার জন্য ‘কমন ফেসিলিটি সেন্টার’ (সিএফসি) তৈরি করছে। সেখানে এক ছাদের তলায় একাধিক জন নানান সুবিধা পাচ্ছেন।
কী হতে চলেছে সিঙ্গুরে
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর,সিঙ্গুরে নসিবপুর পঞ্চায়েতে সরকারি খাস জমিতে ০.২৩ একর জমিতে সিঙ্গুর ইমিটেশন জুয়েলারি ক্লাস্টার গড়ার পরিকল্পনা হয়েছে। যেখানে ৩৮টি ইউনিট থাকবে। এর মাধ্যমে হাজার পাঁচেক মানুষ প্রতক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ পাবেন, মিলবে নানা ধরনের সুবিধা।
সমস্যা কোথায়?
দিন কয়েক আগে সরকারি কর্তারা জমি মাপতে এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে তাঁরা বাধা পান। গ্রামবাসীদের আপত্তিতে ফিরে যেতে হয় তাঁদের। পরে সেখানে ব্লক প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা পৌঁছলেও জট কাটেনি। গ্রামবাসীদের দাবি, এই জমি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তা কিছুতেই করতে দেওয়া হবে না।
কী বলছেন প্রশাসনিক কর্তারা…
জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার সুমনলাল গঙ্গোপাধ্য়ায় এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘জমি পেতে একটু সমস্যা হয়েছে শুনেছি। কথা বলে সব সমস্যার সমাধান করবেন। এই কাজ ঠিকঠাক ভাবে হলে বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’ সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন মালিক বলেন, ‘আলোচনায় বসা হবে। এখনও একটা জট আছে। আমরা আশাবাদী কথা বলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
সিঙ্গুর ও শিল্পের ইতিহাস
কৃষিজমিতে টাটাদের মোটরগাড়ি কারখানা তৈরির প্রতিবাদকে সামনে রেখে উত্তাল হয়েছিল সিঙ্গুর। কারখানা শেষমেশ হয়নি তবে অনেকেই বলে থাকেন, তার পরিবর্তে ক্ষমতার বদল হয়েছে। সিঙ্গুর আন্দোলন বাম শাসন অবসানে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। আর সেই সিঙ্গুরে সরকারি উদ্যোগে সরকারি জমিতে এমন বাধা পাওয়া ঘটনা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সব জেনে রাজ্যের এক সিপিএম নেতা বলছিলেন, ‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে!’