Mamata Banerjee on Adenovirus: বাড়িতে একজন অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত, আমি উদ্বিগ্ন: মমতা – adenovirus west bengal mamata banerjee concerns over the situation


Adenovirus West Bengal: অ্যাডিনো নিয়ে গোটা বাংলায় বাড়ছে উদ্বেগ। অ্যাডিনো পরিস্থিতিতে ঘরে ঘরে শিশুদের বসন্তের জ্বর-সর্দির সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও। অ্যাডিনোয় একের পর এক শিশু মৃত্যুতে ঘুম উড়েছে প্রশাসন থেকে খুদেদের বাবা-মায়ের।

রাজ্যে এই পরিস্থিতিতে সাংঘাতিক উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরই মাঝে তিনি জানালেন, এই উদ্বেগের এই ভাইরাসের থাবা পড়েছে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারেও। বিধানসভায় অ্যাডিনো পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর পরিবারের সদস্যও অ্যাডিনোতে আক্রান্ত হয়েছে।

Mamata Banerjee : ‘সেরকম কোনও ঘটনা নয়’, রাজ্যের অ্যাডিনো পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর

অ্যাডিনো পরিস্থিতির মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের উদ্দেশে রেফার না করার অনুরোধ করেছেন। জায়গার অভাবে চিকিৎসা সম্ভব না হলে টেলিমেডিশন পদ্ধতিতে শিশুদের সুস্থ করে তোলার কথা বলেন। একইসঙ্গে সরকারি হাসপাতালগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, ”শিশুরা তেমন ক্রিটিক্যাল হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে তবেই রেফার করবেন।”

এদিন বিধানসভায় অ্যাডিনো নিয়ে তার পর্যবেক্ষণে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ” যাদের কোভিড হয়েছে, তাদের মধ্যে একটা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।” তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কো-মর্বিডিটি ১৩ জন এবং অ্যাডিনোয় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।

Adenovirus : একটি শিশুরও যেন মৃত্যু না হয়, নিশ্চিত করতে হবে : মমতা

মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন ভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষ যাতে অতিরিক্ত আতঙ্কিত না হন। অ্যাডিনো থেকে বাঁচতে করোনার মতোই মাস্ক পরতে এবং বিশেষ করে শিশুদের মাস্ক পরানোর পরামর্শ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অ্যাডিনো উদ্বেগ সামাল দিতে আগেই স্বাস্থ্য দফতরকে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপে শিশু মৃত্যু আটকাতে আগেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রশাসনকে কাজের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Kolkata News: জ্বর-শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি ২ শিশুর মৃত্যু

জাগো বাংলাতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে শিশু মৃত্যু আটকাতে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেন। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরকে তিনি নির্দেশ দেন যাতে আর একটি শিশুরও মৃত্যু না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। নবান্নে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। জারি করা হয় দশ দফা নির্দেশিকাও। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালে একজন শিশু চিকিৎসকের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।

উল্লেখ্য, শুধু অ্যাডিনো নন, রাজ্যে জ্বর সর্দি কাশিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়ার সমস্যারও বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। হচ্ছে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও। সরকারি হাসপাতালে অসুস্থ শিশুদের নিয়ে বাবা মায়ের ভিড় । পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগের যে হাসপাতালে এক বেডে স্থানাভাবে দুই শিশুর চিকিৎসা চলছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *