এদিন বসিরহাটের বসিরহাট ২নং ব্লকের বেঁকি বাজার এলাকায় একটি মাদ্রাসা (Madrasa) ও এতিমখানায় জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে ১৭ জোড়া বিয়ে অনুষ্ঠিত হল। হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের পাত্রপাত্রীদের উপস্থিতিতে গণবিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহ উপলক্ষে একেবারে মেলার রূপ নেয় বসিরহাটের বেঁকি এলাকা। মূলত সমাজের আর্থিক ভাবে দুর্বল পরিবারের পিতা মাতার মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি অনাথ ছেলেমেয়েদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের পাত্র পাত্রীদের বিবাহ একই মঞ্চে দেখল বসিরহাটবাসী (Basirhat)। একসঙ্গে অনেকগুলো বিয়ে হওয়ায় খুশি পাত্র পাত্রীরাও। হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের যার যার ধর্ম রীতি মেনে সম্পাদন হলো বিবাহর কাজ। এই বিষয়ে উদ্যোক্তা নূর আহমেদ ঔরঙ্গজেব আগা বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আইনগত প্রদ্ধতি মেনে দুস্থ পাত্র পাত্রী নির্বাচিত করা হয় এবং নবদম্পতিদের হাতে নতুন সংসার জীবনের জন্য গৃহসজ্জা ও সাংসারিক জিনিসপত্র উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।
আজ এখানে ২ জোড়া হিন্দু ও ১৫ জোড়া মুসলিম বিবাহ সম্পন্ন হল। এই বছরই প্রথম না, আমরা আগের বছরগুলিতেও ইরকম গণবিবাহের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। আর এই ধরনের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আমরা কখনও জাত বা ধর্ম বিচার করিনা। কারন গরিব মানুষের পরিচয় একটাই, সে গরীব। তবে হ্যাঁ, বিবাহের পূর্বে আমরা বেশ কিছু তথ্য যাচাই করে নিই”।
কি কি তথ্য যাচাই করা হয় এই বিষয়ে তিনি বলেন, “পাত্র বা পাত্রীর বিবাহের বয়স হয়েছে কিনা, তাঁদের আগে কোনোদিন বিয়ে হয়েছে কিনা। তাঁকে জোর করে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হচ্ছে কিনা, এই সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হয়। সবার আধার কার্ডও যাচাই করে দেখা হয়। তারপরেই তাঁদের গণবিবাহতে অংশ নিতে দেওয়া হয়”। গণবিবাহ দেখতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জমেছিল বিশাল ভিড়। এমন সামাজিক কর্মকাণ্ড কে কুর্নিশ জানিয়েছেন আপামর বসিরহাট বাসীও।