টাকা না দেওয়ার কারণেই অভিমানে সে আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। রবিবার বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল ছেলের ঝুলন্ত দেহ। মৃত যুবকের অলিক চৌধুরীর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার স্কুল মোড়ে। এদিন বিষয়টি নজরে আসতে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তপন থানার পুলিশ।
পরে পুলিশে দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে তপন থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, অলিকের বাবা বেশ কিছু বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। মা সেলাই করে কোনওরকমে দিন গুজরান।
ছেলে অলিক লোকের দোকানে কাজ করত৷ তবে বেশ কিছু দিন ধরে সে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে বলে দাবি পরিবারের। পরিবারের তরফে বহুবার বুঝিয়ে কোনও লাভ হয়নি৷ গতকাল রাতে হঠাৎ করে অলিক তার মাকে ৩০০০ টাকা দিতে বলে। কেন টাকা চাইছে জিজ্ঞেস করলে অলিক বলে সে দিল্লি যাবে। তার জন্যই ৩০০০ টাকা লাগবে। মায়ের সঙ্গে টাকা নিয়ে বচসা হয় ছেলের। জেদি ছেলে অভিমান করে ঘরে চলে যায়।
পরদিন সকাল হলেও ছেলের দরজা না খোলায় চিন্তায় পড়ে যায় মা৷ অনেক ডাকাডাকির পরও কোনওরকম ভাবে ছেলের সাড়া পাননি। এরপর জানালা দিয়ে তাকাতেই ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে মায়ের৷ পরে দরজা ভেঙে অলিকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷
ভাইয়ের জেদ-এর ব্যাপারে জানিয়েছেন অলিকের দাদাও। মৃতের দাদা প্রসেনজিৎ চৌধুরী বলেন,”ভাই ছোট থেকেই খুব জেদি। তার মাসি ভাইকে ৩০০০ টাকা দিতে পারেনি। সেজন্যই কথা কাটাকাটি হয় রাতে। তারপরেই এই ঘটনা।” তপন থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণে ওই যুবক আত্মঘাতী হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।