স্থানীয় সূত্রে খবর, বাগুইআটি পূর্বাশার বাসিন্দা সৌমদীপ সাহার বাগুইআটির অশ্বিনীনগর এলাকার বাসিন্দা দিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল । কিন্তু, সম্প্রতি সেই সম্পর্ক থেকে সরে এসেছিলেন তিনি। প্রেমে প্রত্যাখান সহ্য করতে না পেরে মা, বন্ধু ও পরিবারের লোককে সঙ্গে নিয়ে সৌম্যদীপের বাড়ি পৌঁছে যান প্রেমিকা দিয়া। উল্লেখ্য, সম্প্রতি নতুন চাকরিতে যোগ দেন সৌম্যদীপ।
অভিযোগ, রবিবার রাতে প্রেমিকের বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক ঝামেলা করেন করেন দিয়া। তাঁর পরিবারের লোকজন সৌম্যদীপকে দ্রুত বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। এমনকী যুবকের মা-বাবাকেও ব্যাপক অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। ফ্ল্যাটের ছাদের প্রচুর বাকবিতণ্ডা, বচসা চলে।
রীতিমতো পাড়ার লোক জড়ো হয়ে গিয়েছিল ঘটনায়। অভিযোগ, চলে যাওয়ার আগে প্রেমিকা দিয়ার মা সৌম্যকে বিয়ে না করলে হাজতবাস করানোর হুমকিও দেন। দাবি, এতেই ব্যাপক অপমানিত বোধ করেন সৌম্য। প্রেমিকা ও দিুয়ায় বাড়ির লোক বাড়ি ছাড়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন ওই যুবক।
সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় বাগুইআটির ধারে বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনার পর শোকের ছায়া পরিবারে। এরপরই দিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন পরিবার। ছেলের অবস্থার জন্য দায়ী করেন তাঁকে। সৌম্যদ্বীপের পরিবারের পক্ষ থেকে বাগুইআটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
সৌম্যদীপের মৃতদেহ হাসপাতালে আনার পর সেখান থেকেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্তে নেমেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। দেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হবে ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অটোপসি রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।