West Bengal Government Holiday :জ্বর-শ্বাসকষ্টের বাড়বাড়ন্তে মধ্যেই ছুটি বাতিল ডাক্তারদের, ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে ফিভার ক্লিনিক – west bengal health department cancels leave of few designated person of health department amid of adenovirus situation


রাজ্যের অ্যাডিনো ভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাড়িতেও একজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় যাতে কোনওভাবেই খামতি না থাকে এই বার্তা আগেই দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার হোলি এবং দোলের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন।

এই ভাইরাল সংক্রমণের পরিস্থিতিতে রাজ্যের সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও অন্যান্য হাসপাতালের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ডেপুটি সুপার এবং শিশুরোগ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি শিশুদের শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা পরিষেবায় যুক্ত সমস্ত সরকারি কর্মী এবং সমস্ত জেলার মুখ্য ও উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ছুটি সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

Mamata Banerjee on Adenovirus: বাড়িতে একজন অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত, আমি উদ্বিগ্ন: মমতা
ফলে এই আধিকারিক এবং চিকিৎসকরা দোল এবং হলিতেও ছুটি পাবেন না। জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে যাতে কারও কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় সেই জন্যই এই নির্দেশ বলে জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে ফিভার ক্লিনিক।

গত কয়েক সপ্তাহে জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় একাধিক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রশাসন। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের এক সদস্যও এই ভাইরাসে আক্রান্ত। কোনওভাবেই চিকিৎসকদের রেফার না করার জন্য অনুরোধ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

সরকারি নির্দেশিকা

Adenovirus : একটি শিশুরও যেন মৃত্যু না হয়, নিশ্চিত করতে হবে : মমতা
পাশাপাশি টেলিমেডিসিন নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। পাশাপাশি এদিন বিধানসভায় মমতা বলেন, যাদের এক আগে করোনা হয়েছে তাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। সতর্ক থাকুন।” একইসঙ্গে তিনি পুনরায় মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন। শিশুদের মাস্ক পরার দিকে অতিরিক্ত জোর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এর আগেই জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে আগেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে কোনওভাবেই যাতে আরও একজন শিশুরও মৃত্যু না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Adenovirus : একজন অ্যাডিনো আক্রান্তেরও মৃত্যু হয়নি বারাসত মেডিক্যালে: হাসপাতাল সুপার
রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি হেলপ লাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। সেখানে ফোন করে সাহায্য চাওয়া যাবে। পাশাপাশি চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জ্বর হলেই যে কোনও শিশু অ্যাডিনোতে আক্রান্ত এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। তাঁদের স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। বাড়িতে চিকিৎসা না করে অবশ্যই এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *