আর তারই পাশে, এই একমো-র কল্যাণেই সুস্থ হয়ে উঠে বাড়ি ফিরল ওই কিশোরীর চেয়ে বছর দশেকের ছোট এক শিশুও। অ্যাডিনোর ছোবল সামলে গত বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ বাড়ি ফিরেছে পাঁচ বছরের আরভ সুমন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রথমে পাঁচ দিন ধরে সর্দি-জ্বরে ভুগেছিল নিউ আলিপুরের আরভ। তার পর গত ২৯ জানুয়ারি তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলেও ক্রমে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আরভের মা-বাবা স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ছেলেকে ভর্তি করেন। সেখানে অক্সিজেন দেওয়ার পরেও দেখা যায়, রক্তে অক্সিজেন কমেই চলেছে। এমনকী, তাকে ভেন্টিলেশনে দিয়েও লাভ হয়নি। পরদিন, ৩০ জানুয়ারি চিকিৎসকরা যোগাযোগ করেন মুকুন্দপুরের মেডিকা সুপার-স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের একমো-টিমের সঙ্গে।
পূর্ব ভারতের মধ্যে ওই হাসপাতালেই রয়েছে সব চেয়ে বেশি সংখ্যক একমো। মেডিকার চিকিৎসকরা আরভকে পেডিয়াট্রিক একমো সাপোর্ট দিতে শুরু করেন ৩১ জানুয়ারিতে। টানা ১৮ দিন একমো চলার পর প্রথমে ভেন্টিলেশন ও তার পর সাধারণ অক্সিজেন থেরাপি দেওয়া হয় আরভকে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে আরভ। ওই বেসরকারি হাসপাতালের একমো টিমের প্রধান চিকিৎসক দীপাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘সময় মতো একমো ব্যবহার করার জন্যই আরভ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছে।’