কাজেই পর্যটকদের আড়ালে কোনও অসাধু ব্যক্তি যাতে এই ক’দিন জঙ্গলের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে এই কারণেই দু’দিনের জন্য জঙ্গল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বনবস্তির বাসিন্দাদের নিয়ে সচেতনতামূলক একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে এই উৎসবের দিনগুলি শুধুমাত্র রংয়ের মাধ্যমেই পালন করেন সেই কথাও তাঁদের বোঝানো হচ্ছে।
সূত্রের খবর, দু’দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে গরুমারা, চাপড়ামারি এবং নেওড়া ভ্যালির জঙ্গল। জঙ্গলের ভেতরে পর্যটকদের প্রবেশাধিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা আনা হচ্ছে এই দুই দিন। ৭ এবং ৮ মার্চ এই দুই দিন পর্যটকরা জঙ্গলের ভেতরে কোনওরকম জিপসি সাফারি করতে পারবেন না।
পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য জঙ্গলের ভেতরে যে সমস্ত থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে সেগুলিও বন্ধ থাকবে। হোলির পূর্বে শিকার উৎসব রুখতে জঙ্গল সংলগ্ন বনবস্তি ও চা বলয় এলাকায় গত শনিবার থেকেই টহলদারি শুরু করেছে বন দফতর। এছাড়া বনবস্তি এলাকায় হোলি উপলক্ষে শিকার রুখতে লিফলেট বিলি করে সচেতন করছেন বনকর্মীরা।
দীর্ঘদিন ধরেই বনবস্তি এলাকায় কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে হোলি উপলক্ষে শিকার করার প্রথা রয়েছে। হোলি উৎসবের দুই একদিন আগে থেকেই তারা জঙ্গলে ঢুকে হোলি উৎসবে খাবারের জন্য বন্যপ্রাণী শিকার করে থেকে। জঙ্গলে গিয়ে বন্যপ্রাণ ও পাখি শিকার করে তারা।
এই উৎসবকে দীর্ঘদিন ধরে শিকার উৎসব বলেই পালন করে আসছে বন বস্তির বিভিন্ন সম্প্রদায়। কিন্তু সেই শিকার উৎসব রুখতে সজাগ বন দফতর। গত শনিবার সকাল থেকেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বিভিন্ন বনবস্তি ও চা বলয় এলাকায় বন দফতরের তরফে টহলদারি ও বনবস্তি এলাকাতে যাতায়াত কারী গাড়িগুলিতে চেকিং শুরু করা হয়েছে।
এমনকি জনগণকে সচেতন করতে বনবস্তি এলাকায় বন দফতরের থেকে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়াও হোলির শেষ পর্যন্ত বাড়তি নজরদারি চালাবেন বনকর্মীরা। তবে জঙ্গল বন্ধের সিদ্ধান্তে হতাশ ডুয়ার্সের গরুমারা জঙ্গল সংলগ্ন মূর্তি জিপসি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।
তাঁদের অভিযোগ, যেখানে জলদাপাড়া অভয়ারণ্য পর্যটকদের জন্য খোলা রয়েছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কেন গরুমারা, চাপড়ামারি বন্ধ করা হল। যদি বন্ধ করতেই হয় তবে সব জঙ্গল একসঙ্গে বন্ধ করা উচিত।