Purulia Village Ban Liquor : ‘মদ খাওয়া, মাতাল হওয়া নিষিদ্ধ’, পুরুলিয়ার গ্রামে জারি নিষেধাজ্ঞা – purulia village chitidi impose ban on drinking and selling liquor


‘মদ্যপান নিষিদ্ধ’, সে গ্রামে সুরা পান ‘অপরাধ’। সাংসারিক অশান্তি সহ অন্যান্য একাধিক সমস্যার কথা মাথায় রেখে পুরুলিয়ার একটি গ্রামে মদ পানের উপর জারি করা হয়েছে ‘নিষেধাজ্ঞা’। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি দেওয়াল লিখনেও জোর দেওয়া হয়েছে। মন থেকে মদের পিপাসা সরানোর জন্য সচেষ্ট গ্রামবাসীরাও।

White Palash Tree: বসন্তে মন মাতাচ্ছে শ্বেতপলাশ, পুরুলিয়া-বর্ধমান-নদিয়ায় ফুল দেখার হিড়িক! দাম কত জানেন?
কথা হচ্ছে পুরুলিয়ার আড়ষা থানা এলাকার চিতিডি গ্রাম নিয়ে। এই গ্রামে ‘মদ মুক্ত চিতিডি’ অভিযান চালু হয়েছে। গ্রামের ‘ষোলোআনা কমিটি’-র তরফে একটি পোস্টার সর্বত্র সাঁটানো হয়েছে। যেখানে লেখা, “এই গ্রামে মদ বিক্রি করা, মদ খাওয়া, মদ খেয়ে মাতলামি করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। গ্রামের ব্যক্তি, পরিচিত, অরিচিত, বন্ধু, আত্মীয় সকলের ক্ষেত্রেই এই ঘোষণা জারি করা হয়েছে। যদি কেউ তা না মানে সেক্ষেত্রে চিতিডি ষোলোআনা কমিটির বিবেচনা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে শাস্তি পেতে হবে।”

Justice Abhijit Ganguly : পুরুলিয়া সফরে খোশমেজাজে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, আদালত চত্বরে সেলফি তোলার হিড়িক
কিন্তু, কেন এই পদক্ষেপ?
গ্রামে প্রবীণরা বলছেন, “দিন দিন মদ্যপানের জন্য পারিবারিক অশান্তি, নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। তাই গ্রামে যাতে মদের ছায়া না পড়ে সেজন্য সচেষ্ট হয়েছি। গ্রামে আগত সকলের জন্যই এই নিয়ম লাগু হতে চলেছে।”

গ্রামের বাসিন্দা কালীচরণ মাহাতো বলেন, “মদ যত নষ্ঠের গোড়া। তাই গ্রামের মানুষ এই আসক্তি থেকে দূরে থাকতে পারে সেই জন্যই এই উদ্যোগ।” সরকারের উপরেও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। কালীচরণ বলেন, “সরকার তো মদ বিক্রির উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করছে না। তাই গ্রামের সকলেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।”

Purulia Chhau Dance : ছৌ মুখোশ শিল্পী ধর্মেন্দ্রর ঝুলিতে জাতীয় স্বীকৃতি, আনন্দে মাতল বাঘমুণ্ডির গ্রাম
উল্লেখ্য, এই গ্রামে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের বসবাস। ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ শিক্ষিত বলে পঞ্চায়েত সূত্রে খবর। ১৪০০ ভোটের রয়েছে এই গ্রামে। শিশুদের শিক্ষার জন্য একটি প্রাথমিক স্কুলের পাশাপাশি একটি অঙ্গনওয়াড়িও রয়েছে। গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য যুধিষ্ঠির মাহাত বলেন, “গ্রামবাসীদের এই উদ্যোগে আমার ব্যক্তিগত সমর্থন রয়েছে।”

যদিও প্রতিবেশী গ্রামের কিছু তরুণের কথায়, “মদ পান ভালো, কী খারাপ, সেই প্রসঙ্গে যাব না। কিন্তু, রাজ্যে মদ্যপানে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। সেক্ষেত্রে কেন এই ধরনের ফতোয়া জারি করা হবে!” তাঁদের সংযোজন, “সচেতনতা মূলক প্রচার চালানো আলাদা বিষয়। কিন্তু, এভাবে কি নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায়!” এখন দেখার গ্রামবাসীদের এই ব্যক্তিগত উদ্যোগ কি চিতিড়িকে মদ মুক্ত করতে পারবে!



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *