সাত সকালে ঘুম ভাঙার পরে বাড়ির সামনে ব্যাগ ভর্তি বোমা দেখে আতঙ্কিত স্থানীয় মানুষ। অশোকনগর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লী সংঘ খেলার মাঠের পাশের গলিতে বোমা গুলি লক্ষ্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় অশোকনগর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে অশোকনগর থানার পুলিশ। আসেন বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা।
বম্ব স্কোয়াডের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এক জায়গা থেকে ব্যাগ ভর্তি ১০ টি বোমা এবং তার কিছুটা দূরে পল্লি সংঘ মাঠের অন্য প্রান্ত থেকে উদ্ধার হয় আরও একটি তাজা বোমা। সাত সকালে ১১ টি তাজা বোম উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা নির্মল চন্দ্র দাসের বাড়ির সামনে থেকে বোমা ভর্তি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
নির্মল দাস বলেন, “আমাদের সঙ্গে কারোর তো কোনও শত্রুতা নেই। এরপরেও বাড়ির সামনে সকালে দেখলাম এরকম ব্যাগ ভর্তি বোমা পড়ে রয়েছে। এর আগে এলাকায় তো এরকম কোনও ঘটনা দেখেনি। যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে রয়েছি।” স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “আমরা তো এরকম বোমা কোনওদিন চোখে দেখেনি। এই প্রথম চোখের সামনে দেখলাম। পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। আমরা যথেষ্ট ভয়ে রয়েছি।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন ভোর পাঁচটা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বোমাগুলো লক্ষ্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বোমা দেখতে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে জনসাধারণকে সরিয়ে জায়গাটিকে ঘিরে ফেলে। বোমাগুলি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। তবে কে বা কারা বোমাগুলি রেখে গিয়েছে, সে সম্বন্ধে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার মির্জাপুর মল্লিকপাড়া এলাকায় ২১ টি সকেট বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। তার দিন তিনেক আগেই স্কুলের ছাদে এবং ফুলের বাগানে মিলল সকেট বোমা উদ্ধার হয় ঘটনা মুর্শিদাবাদ জেলার হাসানপুর রাজেশ্বরী বিদ্যাপীঠ স্কুল থেকে।