অভিনেতা বনিকে তলব ED-র, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডেও?


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে টলিউড (Tollywood)। এবার তলব করা হল অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে (Bonny Sengupta))। জানা গিয়েছে, শুক্রবার তাঁকে কলকাতার ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনে অভিনেতার কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেই নিয়েই তদন্ত করতে এই তলব বলে জানা যাচ্ছে ED সূত্রে।

Primary TET : কেন টাকা দেন কুন্তল? ফের ডাক সোমাকে

কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগ ছিল বনির?

কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) সঙ্গে বনি সেনগুপ্তর যোগাযোগ থাকতে পারে বলে ED সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ধৃত হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের ব্যাঙ্কের নথি দেখে বনির নাম পাওয়া গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের নিজস্ব একটি প্রযোজনা সংস্থা ছিল বলে জানা গিয়েছে ED তদন্তে। শিক্ষক নিয়োগের টাকা খাটানো হয়েছিল ধৃত কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) প্রযোজনা সংস্থাতেও? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে নথিপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল আগেই দাবি করেছিলেন, হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে টেট পরীক্ষার্থীদের চাকরির জন্য ১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় গেল? কারা ভাগ পেলেন? সেই টাকা কি কোনওভাবে টলিউডে এসেছিল? অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর নাম কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিতে পাওয়া গিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্ক্যানারে চলে এসেছে টলিউড।

Gopal Dalapati : প্রশ্ন সাজানো হচ্ছে গোপালের জন্য? এখনই জিজ্ঞাসা নয় হৈমন্তীকে
উল্লেখ্য, কুন্তলের প্রযোজনা সংস্থায় টলিউডের (Tollywood News) এক পরিচিত মুখ যুক্ত রয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। সেই রহস্যময়ী অভিনেত্রীর নাম অবশ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। গত কয়েক বছরে বাংলা এবং হিন্দি ভাষায় বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিয়ো, এমনকী ওয়েব সিরিজও প্রযোজনা করা হয়েছে কুন্তল ঘোষের সংস্থার তরফে। চাকরি দেওয়ার নামে টেট পরীক্ষার্থীদের থেকে নেওয়া টাকা ওই প্রযোজনা সংস্থায় খাটানো হয়েছে কি না, তা এখন খতিয়ে দেখছেন ইডির তদন্তকারীরা।

Recruitment Scam : কুন্তল: প্রতারিতদের সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু সিবিআইয়ের
এদিকে, গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কুন্তল ঘোষ নিশানা করে নিয়েছেন তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal), গোপাল দলপতি এবং নীলাদ্রি ঘোষ নামে আরও একজনকে। তবে শান্তনুর বিষয়ে জানতে চাইলেই চুপ করে যাচ্ছেন তিনি। ফলে এবার হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করা হয়েছে। এর আগেও তাঁকে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি পড়তে হয়েছিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *