রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির দাবি, বন্ধে যোগ দিলে সরকার কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না। তার জন্য বিধানসভায় আইন পাশ করাতে হবে। সেটা না করিয়ে নোটিশ জারি করছে। আমরা নায্য দাবিতে আইন মেনে বন্ধ করছি। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডাকা বন্ধের বিরুদ্ধে তৃণমূল ফেডারেশনের মিছিল করে প্রচার করে। তাঁদের দাবি, কাজ বন্ধ করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে রাজনৈতিক স্বার্থে। সে কারণে ধর্মঘট পালন না করার জন্যেও আমরা আবেদন জানাচ্ছি।
উভয় পক্ষই আজ বারাসাতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শাসকের দফতরে সরকারি কর্মচারীরা মিছিল বার করেন। তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত সরকারি কর্মচারীবৃন্দদের দাবি, কিছু অসাধু মানুষজন যারা সরকারের কাজকর্ম নষ্ট করতে চাইছে। এইভাবে একটা কাজের দিন নষ্ট করা উচিত নয়। সে কারণে তারা আগামীকাল বন্ধের বিরুদ্ধে কাজ করবেন। তাঁদের কথায়, “আমরা বনধের বিরুদ্ধে সরকারের পাশে আছি। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী ৩% দিয়ে বাড়িয়েছে। আগামীতে বাকি DA দিয়ে দেবেন।”
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন যৌথ মঞ্চ। এরপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ কো-অর্ডিনেশন কমিটি ১০ ফেব্রুয়ারি বকেয়া ডিএ সহ একাধিক ইস্যুতে ধর্মঘটের ডাক দেয়। যৌথ মঞ্চের তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। সেখানে বলা হয়, এর আগেও সরকারকে নিজেদের দাবি জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। তাঁদের দাবি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটি মধ্যস্থতা কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, ডিএ নিয়ে ধর্মঘটের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডাকা ধর্মঘটের দিন যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক থাকে, সেজন্য আগেভাগেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিবহণ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক রাখার জোর দেওয়া হচ্ছে। সেজন্য প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপের পথেও হাঁটা হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।