আলুর ন্যায্য মূল্যের দাবিতে রাস্তায় আলু ফেলে ডানকুনি আরামবাগ রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাম কৃষক সংগঠনের সদস্যরা। এদিন ডানকুনি আরামবাগ আহল্যাবাই রোডের তারকেশ্বরের (Tarakeshwar) পিয়াসারা এলাকায় রাস্তায় আলু ফেলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাম কৃষক সংগঠনের সদস্যরা।
তাঁদের মূলত দাবি, সরকারের তরফ থেকে ৬৫০ টাকা কুইন্টল প্রতি আলুর যে ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা বর্ধিত করে অবিলম্বে কুইন্টল প্রতি হাজার টাকা দাম ধার্য করতে হবে। আলুর দাম না বাড়ানো হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাম কৃষক সংগঠন। প্রায় আধ ঘন্টা অবরোধ চলে। রাস্তা অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। অবরোধ শেষে একটি পথ সভা করেন সংগঠনের সদস্যরা।
এই বিষয়ে হুগলি (Hooghly) জেলা কৃষক সমিতির সম্পাদক স্নেহাশীষ রায় বলেন, “আমাদের সাফ দাবি, আলুর বস্তা প্রতি রাজ্য সরকারকে কমপক্ষে ৫০০ টাকা দিতে হবে। কারণ, আলু চাষে সম্পূর্ণ লোকসান হচ্ছে। এই বছর ৩৫ হাজার টাকা মতন খরচ হয়েছে। প্রোডাকশন একেবারেই কম। তা সত্ত্বেও আলুর দাম নেই। অথচ রাজ্য সরকার নীরব হয়ে বসে আছে। সেই জন্যই আমাদের দাবি, এখুনি রাজ্য সরকারকে আলু কিনতে নামতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “একটি ব্যবসায়ী চক্র ষড়যন্ত্র করছে আলুর দাম কমিয়ে রাখার। এই ব্যবসায়ী চক্রের নোংরা ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিতে হবে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে চাষির আলু কিনতে হবে।”
রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া সহায়ক মুল্যকে তিনি নস্যাৎ করে দিয়ে বলেন, “এটা রাজ্য সরকার চরম অন্যায় করেছে। এই ঘোষণা করা ঠিক হয়নি। মাত্র ৩২৫ টাকা বস্তা প্রতি দিলে চাষির লাভ হতে পারে না।
রাজ্য সরকার যে দাম ঘোষণা করেছে, তাতে বাজার দাম কমিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র আছে। ৫০০ টাকার কম দাম আমরা কিছুতেই মেনে নেব না। যদি এরপরেও রাজ্য সরকার এই দাবি না মানে, তাহলে আমরা আরও বড় আন্দোলনের দিকে যেতে বাধ্য হব।”