জানা গিয়েছে, মোহাম্মদ আলম কামারহাটির এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি পেশায় পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত নীলগঞ্জ রোডে বাবুলাল রাজঘোরিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক। আজ সকাল সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়িতে বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট হয় ওই ব্যক্তির। পাশের ফ্ল্যাটের এক প্রতিবেশীর বাইকে করে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় রোগীকে। জরুরি বিভাগে কর্মরত ডাক্তার তাঁকে একটি ইনজেকশন দেয়। ৪র্থ তলায় নিয়ে যেতে বলে।
অভিযোগ, রোগীকে সেখানে নিয়ে যেতেই সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার এবং সহকর্মীরা বলেন – “ইসিজি কোথায় ?” পরিবারের লোকজন জানায়, জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইসিজির কথা কিছু বলেননি। তখন চিকিৎসকরা ইসিজি করিয়ে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয়। রোগীকে নিচে নিয়ে আসতে আসতেই তাঁর মৃত্যু হয়। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসাদের গাফিলতি ছিল এবং জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তারের বিরুদ্ধে বাজে ব্যবহার করা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
রোগীর এক পরিজন মহম্মদ কালাম উদ্দিন অভিযোগ করেন, জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়ার সময় চিকিৎসকরা বাজে ব্যবহার করে। ইনজেকশন দেওয়ার পরেই রোগীর অবস্থা অবনতি হয়। তাঁর বক্তব্য, “বাইকে করে নিয়ে আসি যখন তখন তার সামান্য বুকে ব্যথা হচ্ছিল। কিন্তু আসার পরে ইনজেকশন দেওয়ার পরে এবং সঠিক চিকিৎসা না করার জন্যই রোগী মারা যান”
রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কামারহাটি থানাতে লিখিত অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতদেহ রেখে দেওয়া হয়। আগামীকাল ময়না তদন্তের পর রোগীর পরিবারের হাতে মৃতদেহটি তুলে দেওয়া হবে। স্থানীয় বেশ কিছু বাসিন্দাদের অভিযোগ, একের পর এক সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। তবে বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চাননি।