কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উদ্ধার হল এক রোগীর ঝুলন্ত দেহ। মানসিক ভারসাম্যহীন হয়েই আত্মহত্যা? বাড়ছে রহস্য

হাইলাইটস
- কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীর ঝুলন্ত দেহ
- পার্কিনসন রোগে আক্রান্ত ছিলেন ওই ব্যক্তি
- খুন না আত্মহত্যা, জানতে গঠিত কমিটি
কলকাতা মেডিক্যালে রোগীর ঝুলন্ত দেহ
শুক্রবার সকালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গ্রিন বিল্ডিংয়ের চার তলায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় মনোরঞ্জন বিশ্বাসকে। তাঁকে উদ্ধার করার পর হাসপাতালেরই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে তিনি আদৌ আত্মহত্যা করেছেন, না কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার সত্য উদঘাটনে হাসপাতাল তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে খবর। পাঁচ সদস্যের এই টিম ইতিমধ্যেই হাসপাতালের গ্রিন বিল্ডিংয়ের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছে। কী ভাবে রোগী উপরে উঠলেন, কী ভাবে গলায় ফাঁস লাগালেন, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে। সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং ওই সময় উপস্থতি কর্মরতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কী জানাচ্ছে হাসপাতাল?
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, পায়ের হাড়ের অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ওই রোগীর। একইসঙ্গে তিনি পারকিনসন রোগেও আক্রান্ত ছিলেন বলে খবর। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এই চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকতে পারেন মনোরঞ্জন। এমনটাও মনে করা হচ্ছে। হাসপাতালের তরফে ডা. অঞ্জন অধিকারী জানিয়েছেন, এদিন ভোর ৩ টে নাগাদ ওই ওয়ার্ডে রাউন্ড দিয়ে গিয়েছেন নার্স। তখনও বেডেই ছিলেন ওই রোগী। সকাল ৬ টার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিনির্বাপণের জন্য শৌচাগারের বাইরে যে পাইপ আছে সেখানেই বিছানার চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায় ওই রোগীকে।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ